সৌদি আরবের মিনায় হাজিদের অবস্থানের মধ্য দিয়ে আজ শুরু হয়েছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর মিনা প্রাঙ্গণ। শুভ্র পোশাকের হাজিদের এই ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়েছে পৃথিবীর অগণিত কণ্ঠে। এখানে ধ্বনি-গরিবের কোনো ভেদাভেদ নেই। শ্রেণিবৈষম্য নেই। হিংসা-বিদ্বেষ নেই। এখানে সবাই এক পোশাকে এক আল্লাহর দিকে ছুটে।
আরবি হিজরি সন ১৪৪৬ এর জিলহজ মাসের ৮ তারিখ আজ। আরবি বর্ষপঞ্জিকার শেষ মাস জিলহজের ৮ তারিখ মিনায় অবস্থানের মাধ্যমে শুরু হয় হজের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর ৯ জিলহজ আরাফার ময়দানে অবস্থান করেন হাজিরা। ১০ জিলহজে পশু কোরবানি করেন হাজিরা। পশু কোরবানি শেষে আরও দুইদিন থাকে হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা। হজ সম্পন্ন করতে সবমিলিয়ে সময় লাগে পাঁচদিন।
সৌদি হজ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত চার লাখের বেশি হাজি মিনায় অবস্থান নিয়েছেন। বুধবার (৭ জিলহজ) সন্ধ্যার পর হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে মিনার উদ্দেশে রওনা হন হাজিরা। এর মাধ্যমেই শুরু হয় হজের আনুষ্ঠানিকতা।
মিনায় রাত যাপন শেষে ৮ জিলহজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রওনা হবেন আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে। সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে হজের খুতবা। এবার খুতবা দেবেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার শেখ সালেহ বিন হুমাইদ। হাজিদের আরাফাতে অবস্থানকেই মূলত হজ হিসেবে ধরা হয়।
৯ জিলহজ শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হাজিরা চলে যাবেন মুজদালিফায়। সেখানে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন।
১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, কোরবানি দেওয়া ও মাথা মুণ্ডন করে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন।
সেখান থেকে তারা আবার মিনায় ফিরবেন। পরে মিনায় ১১ ও ১২ জিলহজ থেকে তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ি তওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।