আগামী ৯ই মে থেকে শুরু হবে চলতি বছরের হজ ফ্লাইট। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, যেসব এজেন্সি নির্ধারিত সময়ে হজযাত্রীদের ভিসা ও বাসা ভাড়া করবে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার (২৪শে এপ্রিল) সকালে আশকোনা হজ ক্যাম্পে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ তারিখে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৪ সালের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ১ মার্চ থেকে হজ ভিসা ইস্যু শুরু হবে। আর হজ ফ্লাইট শুরু হবে ৯ মে থেকে।
২০২৪ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যেতে পারবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে সরকারি কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন। এছাড়া বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনের কোটা ১ লাখ ১৭ হাজার জন।’
হজ প্যাকেজের মূল্য তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারি সাধারণ প্যাকেজ মূল্য ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারিভাবে সাধারণ প্যাকেজে ব্যয় গত বছরের তুলনায় ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কম।
এছাড়া বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বিশেষ এ হজ প্যাকেজের বৈশিষ্ট্য হলো: প্যাকেজ আপগ্রেডেশন, অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে মক্কার হোটেলে ২ ও ৩ সিটের রুম নেয়া যাবে। মক্কায় হারাম শরীফ চত্বর থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ মিটারের মধ্যে উন্নতমানের হোটেল। মদিনায় মারকাজিয়া এলাকায় আবাসন ব্যবস্থা। এক রুমে সর্বোচ্চ ৪ সিট থাকবে। মিনায় ‘এ’ ক্যাটাগরির তাঁবুতে আবাসন ও বুফে খাবারের ব্যবস্থা। মিনা-আরাফাহ মুজদালিফা-মিনায় যাতায়াতে প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য বাসে সিট নিশ্চিত করা হবে।
বিমান ভাড়া কমানোর কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিমান ভাড়া ২ হাজার ৯৯৭ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
তিনি জানান, ‘সরকারি মাধ্যমে সাধারণ প্যাকেজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেসরকারি মাধ্যমে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন (হাব)।’
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনকে হজ পালনের জন্য কোটা অনুমোদন করেছে সৌদি সরকার।