প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকারের ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার কারণে হজে যাওয়া সহজ হয়েছে, কমেছে ভোগান্তি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার হজ পালন নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করেছে। হজ ব্যবস্থাপনার সকল কার্যক্রম সহজ করে দেয়া হয়েছে যাতে হাজীদের কোনোরকম কষ্ট না হয়।
আজ শুক্রবার (১৯শে মে) হজ কার্যক্রম-২০২৩ এর উদ্বোধন ও হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে কম খরচে হজ করতে পাঠানোর জন্য আনা জাহাজ হিজবুল বাহারকে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান প্রমোদতরী বানিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সরকারে এসেই হজ ব্যবস্থা যেন সুষ্ঠুভাবে হয় সেই ব্যবস্থা নেন। সে সময় একটা টাকাও রিজার্ভ ছিল না, কারেন্সি ও গোলায় খাবারও ছিল না। এর মধ্যেও মানুষ যাতে অল্প খরচে হজে যেতে পারেন সেই ব্যবস্থা বঙ্গবন্ধু নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, কম খরচে হজ পালনের জন্য হিজবুল বাহার নামে একটি জাহাজ ক্রয় করে হজের ব্যবস্থা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ’৭৫ পরে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেই জাহাজটিটিকে প্রমোদতরীতে পরিণত করে। তখন হজ যাত্রা হতো না।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত আমলের সব অব্যবস্থাপনা কাটিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার হজ ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন এনেছে। বর্তমানে আমরা ই-হজ ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ভিসা জটিলতা দূর হয়েছে। প্লাইট বিপর্যয়ও এখন তেমন একটা হয় না। হজ ব্যবস্থাপনাও অনেক সহজ হয়েছে। এ ছাড়া প্রাক-নিবন্ধন করা, নিবন্ধন রিফান্ড, মক্কা রোড সার্ভিস, ই-হেলথ, ই-ভিসা সব কিছুই এখন অনলাইনে করা যায়।
সরকারপ্রধান বলেন, ধর্ম একটি পবিত্র জিনিস। পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না। আমরা জঙ্গীবাদবিরোধী কর্মসূচিতে আলেম ওলামাদেরকে সম্পৃক্ত করেছি। আজ সারা বিশ্বে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি মডেল হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সংসদ সদস্য হাবিব হাছান, ধর্মবিষয়ক সচিব কাজী এনামুল হাসান এনডিসি, ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। ইতোমধ্যে হজযাত্রী নিবন্ধন শেষ হয়েছে। তবে, হজের খরচ বেশি হওয়ায় কোটা পুরোপুরি পূরণ করা যায়নি।