সারাদেশে তীব্র দাবদাহের মধ্যে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে হাওরের বোরো ধান ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আজ রোববার (২৮ শে এপ্রিল)  বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকা, গজনাইপুর, দেবপাড়া ও পানিউমদা ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে শিলাবৃষ্টি হয়। শিলাবৃষ্টির স্থায়ীত্ব ছিল প্রায় ২০ মিনিটের মতো।  শিলাবৃষ্টিতে অনেকের ঘরের টিন ছিদ্র হয়ে গেছে।

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলের দিকে ঝড় শেষ হওয়ায় শীতল হয়ে আসে প্রকৃতি। এরপর ঝড়ো বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। শিলাবৃষ্টিতে চলাচল করা অনেকেই আক্রান্ত হয়েছে। ব্যাহত হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। কারও কারও বাসার টিনের চালা ফুটো ও জানালার কাঁচে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ২০ মিনিটের মতো এ শিলাবৃষ্টি স্থায়ী ছিল বলে জানা যায়।

এদিকে, হাওর অঞ্চলে সম্ভাব্য ভারী বৃষ্টির আভাসে ধান কাটায় আটটি পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী ৩ মে থেকে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব হাওর অঞ্চলের (সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নেত্রকোনা) অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

হাওর অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দণ্ডায়মান ফসল রক্ষার জন্য পরামর্শসমূহ হচ্ছে—

বোরো ধান ৮০ ভাগ পরিপক্ক হয়ে গেলে দ্রুত সংগ্রহ করে নিরাপদ ও শুকনো জায়গায় রাখা। দ্রুত পরিপক্ক সবজি সংগ্রহ করে ফেলা। নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখা, যেন ধানের জমিতে পানি জমে না থাকতে পারে। জমির আইল উঁচু করে দেয়া। ফসলের জমি থেকে অতিরিক্ত পানি সরিয়ে ফেলা। সেচ, সার ও বালাইনাশক প্রদান থেকে বিরত থাকা। বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করা এবং কলা ও অন্যান্য উদ্যানতাত্বিক ফসল-সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করা।