হাইপারসনিক অস্ত্র ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়ানো নিয়ে একসাথে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া।

গত সেপ্টেম্বরে এই তিন দেশ একটি সামরিক জোটের কথা ঘোষণা করে। তখন পারমাণু-চালিত সাবমেরিন প্রযুক্তি শেয়ার করার সিদ্ধান্ত হয়। এবার তারা সেই সহযোগিতার পরিধি আরো বাড়ালো। তাদের এই নতুন চুক্তির ফলে চীন ক্ষুব্ধ।
মঙ্গলবার তিন দেশের পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার সশস্ত্র সাবমেরিন কর্মসূচি ভালোভাবে এগোচ্ছে। তাতে তারা সন্তুষ্ট। শরিকরা একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করছে।

তারা বলেছেন, ”আমরা এই ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতা হাইপারসনিক, কাউন্টার-হাইপারসনিক ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধের ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও প্রসারিত করতে চাই। আমরা একে অন্যের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করব। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নতুন উদ্ভাবনের বিষয়টিও শেয়ার করব।”

বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ”আমাদের এই কাজ এগোবার পর আমরা প্রতিরক্ষার অন্য ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বাড়াব। তখন অন্য শরিকদেরও এর মধ্যে ঢোকাব।”

আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ইতোমধ্যে হাইপারসনিক অস্ত্র প্রকল্প রয়েছে। যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্রিটেন সেই প্রকল্পে যোগ দেবে না। তিন দেশ গবেষণা ও বর্তমান অস্ত্র উন্নত করার দিকে নজর দেবে ও একসঙ্গে কাজ করবে।

হাইপারসনিক অস্ত্র শব্দের থেকে পাঁচগুণ গতিতে গিয়ে আঘাত হানতে পারে। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর ইউরোপের দেশগুলির সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে।

এই চুক্তি নিয়ে জাতিসংঘে চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন বলেছেন, এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া উচিত হবে না, যা ইউক্রেন-সংঘাতের মতো কোনো সংকট অন্য জায়গায় তৈরি করে। চীনে একটা প্রবাদ আছে, যদি তুমি কোনো বিষয় পছন্দ না কর, তাহলে তা অন্যদের উপর চাপিয়ে দিও না।

সূত্র: ডয়চে ভেলে ও রয়টার্স।