যুক্তরাষ্ট্র আবারও গোপনে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে বলে প্রভাবশালী গণমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এটি এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের দ্বিতীয়বারের মতো পরীক্ষা। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম হাইপারসনিক মিসাইল পরীক্ষা চালিয়েছিল।

মার্চের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয়বারের মতো হাইপারসনিক মিসাইল পরীক্ষা চালায় বলে সম্প্রতি সিএনএনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় পরমাণু অস্ত্রবাহী আমেরিকান বি-৫২ বোমারু বিমান থেকে এ মিসাইল ছোড়া হয়।

এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৯ কিলোমিটার ওপর দিয়ে ৪৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়। কিন্তু তখন বিষয়টি গোপন রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

শব্দের গতি হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে ১,১২৫ ফুটের মতো। অনেক সামরিক জেটবিমান বা অধুনাবিলুপ্ত কনকর্ডের মতো যাত্রীবাহী বিমানও এর চেয়ে বেশি দ্রুত অর্থাৎ ‘সুপারসনিক’ গতিতে উড়তে পারে।

কিন্তু একটা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুটতে পারে শব্দের চেয়ে পাঁচ থেকে ৯ গুণ বেশি গতিতে।

এটা থেকে খানিকটা ধারণা পাওয়া যায় যে, এই মিসাইল কত দ্রুতগামী এবং কেন এর মোকাবিলা করা কঠিন।

এর আগে চীন ও রাশিয়াও এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে নিজেদের সামর্থ্য পরীক্ষা করতেই মূলত হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল।