আফগানিস্তানে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির অগ্রগতি ঠেকাতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দেশটির সরকার। সেনা ও পুলিশ বাহিনীকে নতুন করে সংঘটিত করার চেষ্টা করছে। তবে শুধু তাদের ওপরই ভরসা করছে না। বেসামরিক নাগরিক তথা সাধারণ জনগণের হাতেও অস্ত্র তুলে দিচ্ছে। তালেবানের বিরুদ্ধে এই গণপ্রতিরোধ বাহিনীতে যোগ দিচ্ছে আফগান নারীরাও। খবর আফগানিস্তান টাইমসের।
সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, তালেবানের বিরুদ্ধে যারাই লড়তে চাইবে তাদেরকেই অস্ত্র ও অন্যান্য সহযোগিতা দেওয়া হবে। ফলে সংঘাতকবলিত আফগানিস্তানে এবার সর্বাত্মক গৃহযুদ্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপে ইতোমধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তালেবান।
জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে আফগানিস্তানের রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ সশস্ত্র সেনা।
মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর সঙ্গে মিলে ২০০১ সাল থেকে তালেবানকে মোকাবিলা করে আসছিল এই বাহিনী। কিন্তু বিদেশি সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শুরু হতেই আফগানিস্তানে ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে তালেবান। হারানো এলাকা পুনরুদ্ধারে হামলা জোরদার করেছে।
আফগান সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীকে হটিয়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা দখল করছে। এভাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৩৭০টি জেলার মধ্যে ৫০টিরও বেশি জেলা নিজেদের দখলে নিয়েছে তারা। এখন তারা ক্রমেই রাজধানী কাবুলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। গোষ্ঠীটির এই নজিরবিহীন অগ্রগতিতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল।
আফগানিস্তান টাইমস জানিয়েছে, তালেবানের অভিযান ঠেকাতে হঠাৎ তত্পর ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সরকার। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করছে। প্রধানত উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে এসব গণপ্রতিরোধ বাহিনী গঠন করা হচ্ছে।
উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বলখের প্রাদেশিক রাজধানী ও দেশের অন্যতম বড় শহর মাজার-ই-শরিফের নবনিযুক্ত উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাকিবুল্লাহ ফায়েক বুধবার এক বক্তব্যে বলেন, ‘প্রত্যেক প্রদেশেই তালেবানের বিরুদ্ধে গণবাহিনী গড়ে তোলা হচ্ছে। অস্ত্রশস্ত্রসহ তাদেরকে সব ধরনের সহায়তা দেবে সরকার।’