ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার হামাস সরকারের প্রধানমন্ত্রী রাহি মুস্তাহাসহ আরও দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে হত্যার দাবি করেছে দখলদার ইসরায়েল। আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করে তিন মাস আগে করা ওই হামলায় গাজা উপত্যকায় হামাস সরকারের প্রধান রাওহি মুশতাহা, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর নিরাপত্তা দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সামেহ আল-সিরাজ ও কমান্ডার সামি ওউদেহ নিহত হয়েছিলেন।
এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানায়, ‘মুশতাহা হামাসের অন্যতম জ্যেষ্ঠ কর্মী ছিলেন এবং হামাসের বাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে সরাসরি প্রভাব রাখতেন।’
আইডিএফ মুশতাহাকে হামাসের শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ‘ডান হাত’ বলে অভিহিত করেছে।
২০১৫ সালে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট মুশতাহাকে ‘স্পেশালি ডেজিগনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট’ হিসেবে ঘোষণা করে।
ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস মুশতাহাকে হামাসের গাজার পলিটব্যুরোর সদস্য হিসেবে বর্ণনা করেছে, তিনি এর আর্থিক বিষয়গুলোও দেখাশোনা করতেন।
ইসিএফআর জানিয়েছে, সিরাজ পলিটব্যুরোর সদস্য ছিলেন এবং ওউদেহ গোষ্ঠীটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থার নেতা ছিলেন বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলি সরকারি বাহিনীর হিসাব অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,২০৫ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ইসরায়েলের পাল্টা সামরিক অভিযানে গাজায় কমপক্ষে ৪১,৭৮৮ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
জাতিসংঘ এই পরিসংখ্যানকে বিশ্বাসযোগ্য বলে বর্ণনা করেছে।