অবশেষে নিজ পরিচয়ে দাফনের জন্য বুঝিয়ে দেয়া হলো বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মরদেহ। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে তাঁর লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এরপর মরদেহটি সিলেটের কানাইঘাটে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রোববার মাগরিবের পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ পুনরায় সমাহিত করার কথা রয়েছে।
এর আগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিনের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নির্ধারণে কবর থেকে মরদেহ তুলে ডিএনএ টেস্ট করার নির্দেশ দেন।
রিট আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্টের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ তুলে ডিএনএ টেস্ট করা হয়। টেস্টে তার ডিএনএ পরিবারের সঙ্গে মিলে যায়। এখন পরিবারের পছন্দমতো কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে হারিছ চৌধুরীর মরদেহ দাফন করতে বলা হয়।
২০২১ সালে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপির সাবেক নেতা হারিছ চৌধুরীকে ‘মাহমুদুর রহমান’ পরিচয়ে ঢাকার সাভারের জালালাবাদ এলাকায় জামিয়া খাতামুন নাবিয়্যিন মাদ্রাসার কবরস্থানে দাফন করা হয়।