ইরানপন্থী মিলিশিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর দীর্ঘদিনের নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করেছে। তবে ওই শীর্ষ নেতার মৃত্যুর বিষয়ে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। খবর আল জাজিরার।

আইডিএফ জানায়, সুনির্দিষ্ট গোয়ন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৈরুতের দাহিয়েতে বেসামরিক ভবনের নিচে হিজবুল্লার প্রধান সদর দপ্তর লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছেন তারা। হামালার সময় হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতারা সেখানেই অবস্থান করছিলেন। খবর রয়টার্স, বিবিসি।

এর আগে নাসরুল্লাহর খুব কাছের লোকদের বরাতে রয়টার্সসহ একাধিক আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ প্রধান বেঁচে আছেন এবং ভালো আছেন। যদিও হামলার পর থেকেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না বলে ইরানি এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়ে আসছিল।

বৈরুতে ওই হামলায় দাহিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকটি উঁচু ভবন ধসে গেছে। ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেখান থেকে অন্তত দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এই হামলার আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তার ভাষণে বলেন লক্ষ্য অর্জন করার আগে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে তাদের অভিযান বন্ধ হবে না।

এদিকে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই শীর্ষ নেতার মৃত্যুর বিষয়ে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এখনো কোনো কিছু পরিষ্কারভাবে জানানো না হলেও তার সমর্থকদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।হিজবুল্লাহ এই শীর্ষ নেতার প্রচুর সমর্থক রয়েছেন। বিশেষ করে, লেবাননে শিয়া নির্বাচনী এলাকায় তার জনপ্রিয়তা অনেক। সেখানকার লোকজন তাকে বাবার মতো সম্মান করেন। তিনি সেখানে এমন একজন ধর্মীয় নেতা এবং সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব যিনি লেবাননের লোকজনের অবস্থার উন্নতি ঘটিয়েছেন।

এর আগে ইসরায়েলি বাহিনীর এক বিমান হামলার ঘটনায় ইব্রাহিম আকিলসহ আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র হিজবুল্লাহ নেতা নিহত হন।