চট্টগ্রামে বিপিএল ক্রিকেটে দিনের দ্বিতীয় খেলায় খুলনা টাইগার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। খুলনার ১৬৪ রানের জবাবে ২১ বল হাতে রেখে জয় পায় তারা। হৃদয় শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৯১ রান করে।
বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্স। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৪ রান করে খুলনা। জবাবে ২১ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
এই জয়ে নয় ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে শীর্ষে উঠল কুমিল্লা। সমান নয় ম্যাচে সমান ১৪ পয়েন্ট তাদেরও। তবে রানরেটে এগিয়ে রয়েছে তারা। অন্যদিকে নয় ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে খুলনা।
রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ২ রানেই ফিরে যান লিটন দাস। উইল জ্যাকস করেন ১৮ রান। মাঝে জনসন চার্লজ আউট হন ১৩ রান করে। জাকের আলিকে নিয়ে বাকি কাজটা বলতে গেলে একাই করেন তাওহীদ হৃদয়। খুলনার বোলারদের ওপর তান্ডব চালিয়ে দলকে বড় জয় এনে দেন তিনি। হৃদয়ের ৪৭ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও সমানসংখ্যক ছয়ের মার। তাকে ৪০ রান করে সঙ্গ দেন জাকের।
এর আগে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান করে খুলনা। টস জিতে আলেক্স হেলস ও আফিফ হোসেনের ব্যাটে ৩২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে তারা। ১৭ বলে ২২ রান করে ফিরে যান হেলস। এনামুল এসেই প্রথম বল থেকে মেরে খেলতে থাকেন। শুরুর দুই বলেই ছক্কা হাঁকান তিনি। আলিস আক্রমণে এসে রানের গতি কমান। নিজের প্রথম ওভারে কোনো উইকেট নিতে না পারলেও তিনি খরচ করেন মাত্র ২ রান। মুস্তাফিজুর রহমানও বজায় রাখেন সে ধারা। যদিও আলিস পরের ওভারে দেন ৯ রান।
ব্যাক টু ব্যাক ওভার করতে এসে এনামুলকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান ফিজ। ১৩ বলে ১৮ রান করেন খুলনা দলপতি। পরের ওভারে ফিরে যান আফিফ হোসেন। ৩৩ বলে ২৯ রান করেন তিনি। এরপর এভিন লুইস ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটে ঘুরতে থাকে খুলনার রানের চাকা। দুজনে মিলে গড়েন অর্ধশত রানের জুটি। জয় ১৯ বলে ২৮ রান করে আউট হন ম্যাথুও ফোর্ডের ওভারে।
বিস্ফোরক লুইসকে সাজঘরে ফেরান মঈন আলি। ২০ বলে ৩৬ রান করেন ক্যারিবীয় ব্যাটার। পরের বলে মঈন ফেরান লুক উডকেও। ডাক মেরে মাঠ ছাড়েন ইংলিশ ক্রিকেটার। তখন তাদের সংগ্রহ ১৩৯। শেষদিকে খুলনার সংগ্রহ বাড়াতে বড় অবদান রাখেন ওয়েইন পারনেল। ১১ বলে ২০ রান করে আউট হন তিনি। কুমিল্লার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মঈন আলি ও ম্যাথুও ফোর্ডে, একটি করে উইকেট পান আলিস আল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।