জিম্বাবুয়েতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ক্রিকেট সিরিজের শেষ খেলায় আজ স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ওয়ানডে সিরিজ এরই মধ্যে হাত ছাড়া হয়েছে টাইগারদের। তৃতীয় ম্যাচে হারলে ২১ বছর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জায় ডুববে বাংলাদেশ।
তাই এই ম্যাচ জিততে মরিয়া মুশফিক, মাহমুদুলাহরা। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে জিম্বাবুয়ে। শেষ ম্যাচেও জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে টাইগারদের হোয়াইটওয়াশ করতে চায় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া ১টায় শুরু হবে খেলাটি।
ওয়ানডে ফরম্যাটের ইতিহাসে এর আগে দু’বার জিম্বাবুয়ের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিলো বাংলাদেশ। ২০০১ সালে প্রথম দুটি দ্বিপাক্ষীক সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিলো টাইগাররা। এরপর পূর্ণ শক্তির জিম্বাবুয়ে আর কখনও বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি। তবে জিম্বাবুয়ের উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে বাংলাদেশ। যা কোন দলই কোন প্রতিপক্ষের সাথে পারেনি।
চলমান সিরিজের আগে ১৮টি দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। এর মধ্যে ১২টিতে জয় এবং ৬টি হার টাইগারদের। তবে এই চলমান সিরিজ জিতে জয়ের সংখ্যাটা ৭’এ উন্নীত করেছে জিম্বাবুয়ে।
এই সিরিজ হারের আগে আফ্রিকান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টানা পাঁচটি সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। এই পাঁচটি সিরিজের সবকটিতেই জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছিলো টাইগাররা। ফলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ১৯ ম্যাচে জয়ের নজির গড়েছিলো বাংলাদেশ।
২০১৩ সালে সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের কাছে ম্যাচ ও সিরিজ হেরেছিলো বাংলাদেশ। নয় বছর পর এসে চলমান সিরিজে জয়ের স্বাদ নিলো জিম্বাবুয়ে।
শেষ ওয়ানডে থেকে সান্ত্বনার জয় এবং হোয়াইটওয়াশ এড়াতে সেরা ক্রিকেট খেলার উপর জোর দিচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, ‘সব কৃতিত্ব জিম্বাবুয়ের। এই সিরিজে সেরা দল তারা। আমাদের ঘুড়ে দাঁড়াতে হবে। আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলিনি এবং সে কারণেই আমরা এই অবস্থানে আছি। অন্তত একটা ম্যাচ জিততে হলে পরের ম্যাচে আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে। আশা করি আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারবো।’