দেশের ১০ জেলার ৬৪টি উপজেলা বন্যাকবলিত বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, বন্যাকবলিত এলাকার মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। আজ (শনিবার) বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের সব সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী না ঘুমিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করছেন। যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম চলমান। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে। উদ্ধার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনী কার্যক্রম চালাবে বলেও জানান তিনি।
গত ১৫ই মে এই বর্ষায় প্রথম দফায় বন্যা হয় সিলেটে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাবে, মে মাসের বন্যায় গত ১৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পানি হয় সিলেটে। তবে চলমান বন্যা গত মাসের রেকর্ডও ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার (১৫ জুন) থেকে সিলেটের নিচু এলাকায় পানি জমে। তবে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে তা ভয়াবহ রূপ নেয়। দুপুর ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের মধ্যেই সিলেট নগরের বেশির ভাগ এলাকা তলিয়ে যায় বন্যার পানিতে।
সিলেট বিভাগের ৮০ ভাগের বেশি এলাকা এখন পানির নিচে। গ্রাম কিংবা শহর সব জায়গায় থই থই পানি। রাতভর অবিরাম বর্ষণ ও উজানের ঢলে সিলেট বিভাগের প্রায় সব এলাকায় বন্যার পানি বেড়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সড়ক ও টেলিফোন নেটওয়ার্ক অকার্যকর হয়ে গেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ও দুর্ঘটনা এড়াতে সিলেট নগরীর কিছু কিছু উঁচু অংশ ছাড়া পুরো বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তাই সিলেট বিভাগ এখন সারাদেশ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। বিমানবন্দরের পর সিলেট রেল ষ্টেশনও বন্ধ হয়ে গেছে।