আগামী ১০ই ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ ঘরোয়াভাবে সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীতে উপমহাদেশের প্রখ্যাত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০-তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব জানান তিনি।
কাদের বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস। এদিন বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে একটি বড় সমাবেশের কর্মসূচি ছিল আমাদের। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা আবেদন করেছিলাম। সে আবেদন তারা গ্রহণ করেননি। বাইরে সমাবেশের নামের শোডাউন হবে সে আশঙ্কা করছে। যে কারণে ১০ তারিখে আমাদের মানবাধিকার দিবসের আনুষ্ঠানিকতা ভেতরেই পালন করবো।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্র এখন ত্রুটিমুক্ত। সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গীবাদী শক্তি গণতন্ত্র সমর্থন করে না। যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে বয়কট করছে এবং প্রতিহত করার জন্য অবরোধ ডাকছে হরতাল ডাকছে এরা গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষে না। গণতন্ত্রকে পরিপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লড়াই চলছে। এই লড়াইকে আমরা আরও এগিয়ে নিয়ে যাবো, তবেই গণতন্ত্র আরো ত্রুটিমুক্ত হবে এবং পরিপূর্ণতা পাবে।
যাদের মনোনয়ন বাতিল হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন যৌক্তিক মনে করেই তাদের মনোনয়ন বাতিল করছেন। এক্ষেত্রে আমাদের কোনো মন্তব্য করা সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কৃষি ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।