সরকারের পদত্যাগ, ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন ও খালেদা জিয়াসহ আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে গণমিছিল করেছে বিএনপি। এতে সমমনা ৩৩টি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেয়। আজ (শুক্রবার) বিকেল সাড়ে তিনটায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এই মিছিল শুরু হয়। গণমিছিলটি কাকরাইল মোড়, শান্তিনগর, মালিবাগ মোড় হয়ে মগবাজার চৌরাস্তা গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে রাজধানীর ১৩টি স্থান থেকে যুক্ত হন বিএনপিসহ এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।

গণমিছিল শুরুর আগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন নেতা-কর্মীরা। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ সিনিয়র নেতারা। এসময় খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দাবি করেন খন্দকার মোশাররফ। সরকারকে পদত্যাগ করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে নির্বাচনের দাবি জানান তিনি। সরকারকে বিদায় করাই ১০ দফার মূল উদ্দেশ্য বলেও জানান।

বিএনপি’র এই সিনিয়র নেতা অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করে অলিখিত বাকশাল চালাচ্ছে। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। এই সরকারের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই বলে দুর্নীতি-লুটপাট করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। অর্থনীতি ধ্বংসের শেষ সীমানায়। অর্থনৈতিক বৈষম্য প্রকট হয়েছে সরকারের ব্যর্থতায়’।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিদায় প্রয়োজন। অতীতে কোনো একদলীয় সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি জনগণের প্রতিরোধে। আওয়ামী লীগ পাড়ায়-মহল্লায় পাহাড়া দিয়েও জনগণকে ঘরে আটকে রাখতে পারেনি। আগামীতে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে সরকারকে সরানো হবে। ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি দিয়ে এগিয়ে যাওয়া হবে’।

মোশাররফ বলেন, ‘সহজে এ ধরনের সরকার ক্ষমতা ছাড়ে না, তাদের বাধ্য করতে হবে। সিনিয়র নেতাসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীদের জেলে নিয়ে আন্দোলন দমাতে পারেনি। জনগণ রাস্তায় নেমে গেছে আর দমানো যাবে না’।

বিএনপি’র এই নেতা সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ১১ই জানুয়ারি ঢাকাসহ সারা দেশে বিভাগীয় শহরে চার ঘন্টার গণঅবস্থানের নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন। নয়াপল্টনে ঢাকার গণঅবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে ১১ই জানুয়ারি বেলা ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত এই গণ-অবস্থানের কর্মসূচী নেয়া হয়েছে। অন্যান্য সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো যুগপৎভাবে এই কর্মসূচি পালন করবে। সেদিনের কর্মসূচি সফল করে সরকারকে বিদায়ে সতর্কবার্তা দেয়া হবে বলে জানান খন্দকার মোশাররফ হোসেন।