বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়া কোনোভাবেই প্রমাণ করতে পারবে না ১৫ আগস্ট তার জন্মদিন। হত্যার দিনকে যারা উৎসবের দিন বানালো, তাদের কাছে মানবাধিকারে কথা দুর্ভাগ্যজনক।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গণতন্ত্র ও নির্বাচনের নামে বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অন্য দেশে আক্রমণের ষড়যন্ত্র চলছে। এ অঞ্চলের সব দেশ এ ব্যাপারে সতর্ক আছে। দেশবাসীকেও সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেছেন, যারা আমাদের বাড়িতে সবসময় ওঠাবসা করেছে, খাওয়া-দাওয়া করেছে, তারাই তো বেঈমানি করেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। জাতির পিতাকে হত্যা করে সংবিধান না মেনে খুনী মোশতাক নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করল। আর রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেই জিয়াউর রহমানকে বানালো সেনাপ্রধান। ষড়যন্ত্রের সাথে জিয়াউর রহমান তো ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
শেখ হাসিনা বলেন, মীর জাফর যেমন তিন মাসের বেশি থাকতে পারেনি। তেমনি মোশতাকও থাকতে পারেনি। জিয়া ক্ষমতা দখল করে। উর্দি পরে ক্ষমতারোহণ এবং পরে নিজেকে রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করারও চেষ্টা করে। আর্মি রুলস ভঙ্গ করে একটা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনও করে। ভোট কারচুপি ও ভোটচুরি তো সেখান থেকে শুরু। এরপর বিএনপি নামক সেই দল করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। স্বাধীন বাংলাদেশে সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা। সেদিন ঘাতকের বুলেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়। ইতিহাসে এ ধরনের জঘন্য ঘটনা বাংলার মাটিতে ঘটে যায়। এটি সেই কারবালার ঘটনাকেও হার মানায়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, খুনিরা বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করে ফেলে। ইসলামি প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশ বেতারের নাম পরিবর্তন করে রেডিও বাংলাদেশ করে। জয়বাংলা স্লোগান বাদ দিয়ে জিন্দাবাদ স্লোগান নিয়ে আসে। ইতিহাসি বিকৃতি করে। বাংলাদেশের মানুষের উন্নতির সব স্বপ্ন বন্ধ হয়ে যায়।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।
