ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে বিশ্বের সেরা সামরিক সুপারপাওয়ারগুলোকেও ছাড়িয়ে গেল উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন তার ক্ষমতা লাভের ১০ বছরে এসে দেশটি এখন হাইপারসনিক প্রযুক্তিতে বিশ্বের প্রথম দু-তিনটি দেশের একটি। আজ রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়। বিশ্লেষকরা এখন বলছে, ২০১৭ সালের পর এটিই তাদের পরীক্ষা করা বৃহত্তম ক্ষেপণাস্ত্র। খবর বিবিসির।

আজকের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ এ নিয়ে চলতি মাসে ৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অভিযোগ উঠল দেশটির বিরুদ্ধে। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের সামরিক বাহিনী ধারণা করছে, স্থানীয় সময় আজ সকাল ৭টা ৫২ মিনিটে সমুদ্রের পূর্ব উপকূলের জাগাং প্রদেশ থেকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া। বিষয়টি জাপান সরকারও নিশ্চিত করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান উভয় সরকারই একটি ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইবিআরএম) উৎক্ষেপণের কথা জানিয়েছে। টোকিওর কর্মকর্তারা বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি ৮০০ কিলোমিটার (৪৯৭ মাইল) পাল্লা দিয়ে ২,০০০ কিলোমিটার (১,২৪৩ মাইল) উচ্চতায় পৌঁছে কোরিয়ান উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলের পানিতে পতিত হয়েছে। ২০১৭ সালের পর এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র আজ ছুড়ল দেশটি।

এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি উত্তর কোরিয়া দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে বলে খবর পাওয়া যায়। তার আগে গত ১১ জানুয়ারি সকালেও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অভিযোগ ওঠে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে। আর ১৪ ও ১৭ জানুয়ারি আরও ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করে দেশটি।