শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেল বিজয়ী ও গ্রামীণ টেলিকমের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ৪ জনকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন শ্রম আপিল ট্রাইবুনাল। একইসঙ্গে সাজার বিরুদ্ধে আপিলের শুনানির জন্য একইদিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল এই আদেশ দেন। এর আগে বেলা ১১টায় ডক্টর ইউনূসসহ ৪ আসামি আদালতে হাজির হন এবং স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত পহেলা জানুয়ারি আদালত ইউনূসসহ চার আসামিকে ৬ মাসের জেল দেয়। তবে জামিন দেয়ায় কাউকে কারাগারে যেতে হয়নি।
গত ২৮ জানুয়ারি কারাদণ্ডের রায় চ্যালেঞ্জ করে সাজাপ্রাপ্তরা শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে। আজ আদালতে জামিনের শুনানি ও সিদ্ধান্তের পর দু’পক্ষই সাংবাদিকদের সাথে যার যার অবস্থান তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিককল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা এবং গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগে গত ১ জানুয়ারি ড. ইউনূস, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দেয় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে চারজনের আপিল ২৮ জানুয়ারি শুনানির জন্য গ্রহণ করে তাদের জামিন দেয় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত শ্রম আদালতের দেওয়া কারাদণ্ডের রায় স্থগিত করে ট্রাইব্যুনাল। রায় স্থগিতের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ওই আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ ও এর বৈধতা নিয়ে রুল দেয় হাইকোর্ট। গত ১৮ মার্চ রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট এক রায়ে সাজা স্থগিতের আদেশ বাতিল ঘোষণা করে বলে, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চারজনকে দেওয়া দোষী সাব্যস্তকরণ আদেশ কার্যকর থাকবে। যতক্ষণ তারা জামিনে থাকবেন তাদের সাজা ও অর্থদণ্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থগিত থাকবে।