বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর হামলা ও পিটিয়ে হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও হাসপাতালে হামলা, যানবাহনে আগুন ধরানোসহ সহিংসতার বিস্তারিত চিত্র ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকদের জানিয়েছে সরকার। রোববার বিকেলে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে এসব তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, বিএনপি জোটের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে প্রতিবন্ধকতা। এসব বাধা সত্তে¡ও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ২৮শে অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে সহিংসতার বিস্তারিত জানাতে সোমবার ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের বৈঠকে ডাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সরকারের পক্ষে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। প্রায় দেড় ঘন্টার বৈঠকে বিদেশি কূটনীতিকদের ওইদিনের ঘটনার সচিত্র বর্ণনা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, বিএনপি ও তার জোট গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বাধা দিচ্ছে- এটা কূটনীতিকদের জানানো হয়েছে। বিএনপির নৃশংসতা লজ্জাজনক বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
একই সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সরকার গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখা ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
বিদেশি কূটনীতিকরা এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সংগে কথা বলেননি। এদিকে, আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও নরওয়ে ২৮শে অক্টোবরের রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে ঢাকায় দেশগুলোর কূটনীতিকরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন।