চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব ব্যক্তি করদাতাকে ই-রিটার্ন দাখিলের আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অনুরোধ জানানো হয়।

গত আগস্টে সব করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করে এনবিআর। এর আগে নির্দিষ্ট এলাকার অধিক্ষেত্রের ব্যক্তি করদাতা, সারা দেশের ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক ছিল। তাতে গত বছর ১৭ লাখের বেশি করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেন।

দেশে বর্তমানে ১ কোটি ১২ লাখ টিআইএনধারী করদাতা আছেন। তাদের মধ্যে প্রতিবছর মাত্র ৪০ লাখ করদাতা রিটার্ন দাখিল করেন।

এনবিআরের বিশেষ আদেশ অনুযায়ী, ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা, মৃত করদাতার আইনগত প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক ছাড়া সবার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

যেসব করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন, তারা চাইলে ই-রিটার্ন সিস্টেমে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। তবে নিবন্ধনসংক্রান্ত সমস্যায় কেউ অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে না পারলে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে উপকর কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করলে অনুমোদনক্রমে কাগুজে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এই সময়সীমা ৩১ অক্টোবর থেকে বাড়িয়ে ১৫ নভেম্বর করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, করদাতার অনুমোদিত প্রতিনিধিও তার পক্ষে অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করে সহজে ই-রিটার্ন জমা দিতে পারছেন। কোনও কাগজপত্র আপলোড ছাড়াই আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য এন্ট্রি করলেই রিটার্ন জমা সম্পন্ন হচ্ছে। জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্লিপ ও আয়কর সনদ প্রিন্ট করা যাচ্ছে।

এনবিআর জানিয়েছে, ই-রিটার্ন জমা প্রক্রিয়া সহজ করতে এবারও করদাতাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ই-রিটার্নসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় সহায়তা দিতে কল সেন্টার ও ওয়েবসাইটে অভিযোগ জানিয়ে সমাধান পাওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। করদাতারা চাইলে নিজ নিজ কর অঞ্চলে গিয়েও ই-রিটার্ন সংক্রান্ত সেবা নিতে পারবেন।