দেশের ৩১ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে নিপা ভাইরাস। উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলেই বেশি। রোগ তত্ত্ব রোগ নিরাময় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, নিপাহ ভাইরাস এক ধরণের ছোঁয়াচে জীবাণু। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা মানুষও সংক্রমিত হয়। এর চিকিৎসা ও প্রতিষেধক নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। তবে, খেজুরের কাঁচা রস থেকেই দেশে নিপাহ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানান দেশের চিকিৎসকরা।তাই খেজুরের কাঁচা রস ও পাখি খেয়েছে এমন ফল না খাওয়ার পরামর্শ তাদের।

ফরিদপুরের ৬২ বছরের আকলিমা।খেজুরের রস খাওয়ার পর শুরু হয় তার খিঁচুনি ও মাথাব্যাথা। এরপর অজ্ঞান হয়ে পড়েন। রাজধানীর মহাখালীর ডিএনসিসি হাসপাতালে আনার পরস্ট্রোক হয় আকলিমার। দেখা দেয় কিডনী জটিলতা।

চিকিৎসকরা জানান, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অল্প সময়ের মধ্যেই রোগি দুর্বল হয়ে পড়ে। মস্তিস্কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা না থাকায় নিপায় মৃত্যুহার ৭০ শতাংশের বেশি।

যিনি আক্রান্ত ব্যক্তির সেবা করেন তারমধ্যেও ভাইরাসটি ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া, যারা সুস্থ হন,তারাও বাকি জীবন øায়ুর সমস্যায় ভোগেন বলে জানান এই রোগতত্ত্ববিদ।

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ২০০৪ সালে ৫০ জন। সে বছর আক্রান্ত হয় ৭০ জন। নিপাহ ভাইরাস বহনকারী বাঁদুর যখন খেজুরের রস খায় তখন তার লালা সেই রসের মধ্যে পড়ে। আবার একই সাথে ইউরিনও মিশে যায় রসের মধ্যে। ফলে, পুরো রসেই ভাইরাসটি মিশে যায়। নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা ও প্রতিষেধক এখনো আবিস্কার হয়নি, তাই সকলকে সচেতন থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।