৩৪ বছর ধরে শরীরে এইচআইভি বয়ে বেড়ানো এক ব্যক্তি সম্পূর্ণ সেরে গেছেন। এই ঘটনার পর প্রাণঘাতী এইডস রোগের চিকিৎসায় আশার আলো দেখতে পেয়েছে বিজ্ঞানীরা।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ব্লাড ক্যান্সার লিউকেমিয়ার চিকিৎসার জন্য ওই ব্যক্তির বোন ম্যারো ট্রাসপ্ল্যান্ট করা হয়েছিল। এরপরই বিশ্বের মাত্র চতুর্থতম ব্যক্তি হিসেবে তার শরীর থেকে এই ভাইরাস নির্মূল হয়ে গেছে।

সুস্থ হয়ে ওঠা ৬৬ বছর বয়সী ওই রোগীর অবশ্য পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। র্বতমানে ওই ব্যক্তি এইচআইভি ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।

ভাইরাসটি থেকে সেরে উঠার পর ওই রোগী বলেন, ১৯৮৮ সালে আমার এইচআইভি ধরা পড়ার পর আমি ভেবেছিলাম এটি মৃত্যুদণ্ড। আমি কখনোই ভাবিনি আমার শরীরে এইচআইভি আর থাকবে না এবং আমি সেই দিনটি দেখার জন্য বেঁচে থাকবো।

চিকিৎসকরা বলেন, ওই রোগীকে থেরাপি দেওয়া হয়েছিল। তবে তা এইচআইভির জন্য নয়। ৬৩ বছর বয়সে তার ব্ল্যাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরে তার ক্যান্সারযুক্ত রক্তকণিকা প্রতিস্থাপনের জন্য বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা। কাকতালীয়ভাবে একজন দাতা পাওয়া যায়; যিনি প্রাকৃতিকভাবেই এইচআইভি প্রতিরোধী ছিলেন।

এর আগে ২০১১ সালে বিশ্বে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে জার্মানির টমোথি রে ব্রাউন নামের এক ব্যক্তি এইচআইভি মুক্ত হয়েছিলেন।