চার দিনের মাথায় কুষ্টিয়া থেকে ফরিদপুর ও খুলনা রুটে বাস ‘ধর্মঘট’ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া জেলার পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে একই দিন দুপুর ১২টায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ জেলার বাস মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে ফরিদপুর ও খুলনাগামী বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় মালিক ও শ্রমিকরা।
জানা গেছে, বিরোধ মীমাংসার জন্য সোমবার দুপুর ১২টায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার বাস মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে বৈঠকে বিবাদমান ট্রিপ সমস্যার সমাধান হয়নি। পরে আলোচনা করে এর সমাধান করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ দেড় ঘণ্টার আলোচনা শেষে উভয়পক্ষ চলমান রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে যাত্রীদের চরম ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে, চলমান বাস ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
শ্রমিকরা জানান, সড়ক ট্রিপ নিয়ে ঝিনাইদহ শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে ফরিদপুরে ঝামেলা চলছিল। এর জেরে গত ৫ এপ্রিল ঝিনাইদহের কালিগঞ্জে কুষ্টিয়ার গড়াই বাসের শ্রমিকদের মারধর করা হয়। এতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেন শ্রমিকরা।
সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন বলেন, চার দিন পর প্রশাসনের আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এইসব পরিবহন চলাচলের জন্য সময় নির্ধারণ থাকায় আজ পরিবহন চালানো সম্ভব হলো না। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে আগের মতই পরিবহন চলবে।
এ সময় বৈঠকে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার খায়রুল আলম ও ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজিবুল ইসলাম বাস মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে সমঝোতার প্রতিনিধিত্ব করেন।