চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ৬১ ঘণ্টা পর তা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তারা বলছে, এই ডিপো থেকে আর কোনো বড় ধরনের বিপদ হওয়ার আশঙ্কা নেই। আজ (মঙ্গলবার) বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল এ তথ্য জানিয়েছেন।

এসময় তিনি আরো জানান, ঢাকা থেকে আজ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষায়িত টিম সীতাকুণ্ডে এসেছে। সেখানে বিপজ্জনক আরও কিছু আছে কি না তা নিয়ে কাজ করছেন তারা।

সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা আরো বলেন, গত রোববার সকাল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের প্রায় দুই শতাধিক সদস্য বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে কাজ করছে। ডিপোতে এসে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। এখন যে আগুনটা আছে তা প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লেগেছে। কারণ এলাকাটা অনেক বড়। প্রায় ২৬ একর জায়গায় ডিপোটি। এখানে কনটেইনারের সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি। কনটেইনারগুলো একটির পর আরেকটি লাগানো ছিল। কনটেইনারগুলো নিচে নামিয়ে কাজ করতে সময় লাগে।

তিনি আরো জানান, জ্বলন্ত কনটেইনারের পাশে কিছু ভালো কনটেইনার ছিল। সেগুলো আমরা পৃথক করে রেখেছি। যাতে আগুনটা আর না বাড়ে এবং ক্ষয়ক্ষতি না হয়। আগুন প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। এখান থেকে আর কোনোভাবে আগুন ছড়ানোর সুযোগ নেই।

শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভয়ংকর বিস্ফোরণ ঘটে। আশপাশে থাকা দমকলকর্মী, শ্রমিক ও বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ এ বিস্ফোরণে হতাহত হন।

এ ঘটনায় ৪১ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ২০০ জনের বেশি। দমকল বিভাগ জানিয়েছে, আগুন নেভাতে গিয়ে তাদের ৯ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।