প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে তেঁতুলিয়া। আজ (বুধবার) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও মৌলভীবাজার, রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহসহ উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তরদিক থেকে হিমালয়ের হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। সামনে আরো কয়েক দিন শৈত্যপ্রবাহ থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। আগুন জ্বালিয়ে তাপ পোহাচ্ছেন মানুষ। রাস্তা-ঘাট ফাঁকাই মিলছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউই।
ঘন কুয়াশা, তীব্র শীত আর কনকনে ঠাণ্ডায় কাঁপছে দিনাজপুরও। এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন খেটে খাওয়া নিু আয়ের মানুষ।
আজ সকাল ৯টায় দিনাজপুর জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯১ শতাংশ।
এদিকে পৌষের মাঝামাঝি থেকেই উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে অনুভুত হচ্ছে কনকনে শীত। হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় যেন জুবুথুবু প্রকৃতি। বিরাজ করছে দেশের সর্বনিু তাপমাত্রাও। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এদিকে, তাপমাত্রার অবনতি আর হাড়কাঁপানো শীতে জুবুথুবু অবস্থা জনজীবনেও। কনকনে শীত সহজেই কাবু করছে এখানকার জনজীবন। রাত থেকে সকাল অবধি বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমালয়ের হিম বাতাস। গত দু’দিন থেকে দেখা মিলছে না সূর্যেরও।
অন্যদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই শীতজনিত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। এ অবস্থায় শিশুদের বাসি খাবার পরিহার করা, খাবার ঢেকে রাখা এবং রাতে শিশুকে নিয়ে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।