প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ৭ই জানুয়ারির নির্বাচন দেশে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। নানা বাধা বিপত্তির পরও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করেছে।সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা জানান, এবারের নির্বাচন নিয়ে কেউ কেউ ধূম্রজাল তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু দেশের মানুষ এই নির্বাচন গ্রহণ করেছে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচন বানচালে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি অন্যভাবে কিছু করার চেষ্টা চালাচ্ছে৷ তবে সরকারের শুভফল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চায় নতুন সরকার৷
এ সময় ভরা মৌসুমেও চালের দাম এত বেশি কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সরকারপ্রধান। বলেন, ভরা মৌসুমে চালের দাম কমার কথা, তা বাড়ল কেন? কেউ অবৈধ মজুদ করলে সাজা পেতে হবে। অসাধু চক্রকে খুঁজে বের করা হবে৷ অস্বাভাবিকভাবে দুরভিসন্ধিমূলক কোনো মজুদ পাওয়া গেলে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট চালিয়ে ওদের জেলে দেওয়া হবে৷
তিনি বলেন, দেশে আর কখনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না। বাজার নিয়ে কেউ যেন কোনো খেলা খেলতে না পারে, সেজন্য দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে। মজুতদারি করে কেউ যাতে মানুষের খাবার নিয়ে খবরদারি করতে না পারে সেদিকে সাধারণ মানুষকেও খেয়াল রাখতে হবে। কোথাও কোনো অস্বাভাবিক কিছু দেখলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে জানাতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দলীয় সরকারের অধীনেও যে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব, সেটা এবার প্রমাণিত হয়েছে। নির্বাচন বানচালে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি অন্যভাবে কিছু করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে সরকারের শুভফল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চায় নতুন সরকার।
তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রতিটি দলের নিজস্ব বিষয়, এ দেশের মানুষ এবারের ভোট গ্রহণ করেছে। হ্যাঁ! এই নির্বাচন অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে। কিন্তু মানুষ তো ভোট দিয়েছে। অথচ কিছু মানুষ ভোট নিয়ে ধুম্রজাল তৈরির চেষ্টা করছে।