একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (পহেলা ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এটি চূড়ান্ত করা হয়। আগামী সপ্তাহেই ভর্তির নীতিমালাটি জারি করা হবে।
উচ্চমাধ্যমিকে (একাদশ শ্রেণি) অনলাইন ভর্তির প্রথম ধাপের আবেদন আগামী ৮ই ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে। এ ধাপে আবেদন গ্রহণ কার্যক্রম চলবে ১৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর এক সপ্তাহ পর ফলাফল প্রকাশ করা হবে। তিন ধাপে আবেদন গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এরপরও যদি কেউ ভর্তির বাইরে থাকে তবে আরেক ধাপ বাড়ানো হবে।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, একাদশ শ্রেণির ভর্তির নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এটি চূড়ান্ত করা হয়। আগামী ৮ই ডিসেম্বর প্রথম ধাপের অনলাইন আবেদন শুরু হয়ে ১৫ই ডিসেম্বর শেষ হবে। এরপর এক সপ্তাহ পর ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এভাবে তিন ধাপে আবেদন গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, তিন ধাপে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশের পরও যদি কেউ ভর্তির বাইরে থাকে, তবে এটি আরও বাড়ানো হবে। সবাইকে ভর্তির সুযোগ দিতে আরও এক ধাপ বাড়ানো হবে। সারাদেশে যে সংখ্যক শূন্য আসন রয়েছে তাতে চলতি বছর পাস করা সাড়ে ১৭ লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি হলে আরও অনেক আসন খালি থাকবে।
আগামী সোমবার শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলেও জানান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
জানা যায়, সারাদেশে ৯ হাজার ১৮১টি কলেজ ও মাদরাসায় একাদশ শ্রেণিতে পাঠদান করানো হয়। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আছে ৫৬৫টি। ডিপ্লোমা ইন কমার্স প্রতিষ্ঠান সাতটি এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ভোকেশনাল, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তি) পর্যায়ে প্রতিষ্ঠান আছে প্রায় ১৮শ। কলেজ ও মাদরাসায় আসন আছে ২৪ লাখ ৪০ হাজার ২৪৯টি, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিকে আছে প্রায় ২ লাখ ৪৩ হাজার। এছাড়া কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পর্যায়ে প্রায় ৯ লাখ আসন রয়েছে। ফলে দেখা যাচ্ছে এ বছর পাস করা সব শিক্ষার্থী ভর্তির পরও আসন শূন্য থাকবে প্রায় ১৬ লাখ।
বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ড থেকে জানা যায়, দেশে সাড়ে ১১ হাজার প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে পড়ালেখা হলেও আড়াইশ কলেজে ভর্তির আগ্রহ থাকে শিক্ষার্থীদের। এর মধ্যে প্রায় ২শ কলেজ ও মাদরাসা এবং ৪৭টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, একটি গ্রাফিক্স আর্ট ইনস্টিটিউট ও একটি গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকস ইনস্টিটিউট রয়েছে। এছাড়া ৫১৫টি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থাকলেও হাতে গোনা ডজনখানেক প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী আকৃষ্ট করার ক্ষমতা রাখে। ডিপ্লোমা ইন কমার্সের সাত প্রতিষ্ঠান ও বিএমটি এবং ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠানেও কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি হয়।
এর বিপরীতে দেখা যায়, এবছর এসএসসি-সমমানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া জিপিএ-৫ এর নিচে কিন্তু জিপিএ-৩ দশমিক ৫ এর উপরে পেয়েছে এমন শিক্ষার্থী আছে আরও ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৮৬৯ জন। এসব শিক্ষার্থীও ভালোমানের প্রতিষ্ঠানের দিকে ছুটতে দেখা যায়। ফলে ভর্তি নিয়ে এক ধরনের তুমুল প্রতিযোগিতা তৈরি হয় প্রতিবছর। ভালো প্রতিষ্ঠানে সীমিত আসনের কারণে জিপিএ-৫ পেয়েও অনেকে পছন্দের কলেজে ভর্তির সুযোগ পায় না।