সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয়ে সারাদেশে আওয়ামী লীগের বিজয় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে ঢাকায় শোভাযাত্রার উদ্বোধন ঘোষণা করেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে শোভাযাত্রার উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি। এর আগে অস্থায়ী মঞ্চে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।

দুপুরের দিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শোভাযাত্রায় খণ্ডখণ্ড মিছিল নিয়ে আসেন।

বর্ণাঢ্য এ শোভাযাত্রাটি রাজধানীর শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড এবং মিরপুর রোড হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি-বিজড়িত বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এছাড়া দেশের বিভাগীূয় ও জেলা শহর, পৌরসভা ও থানা সদরেও বিজয় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘বিজয় শোভাযাত্রা’ বাস্তবায়ন ও সফল করতে জরুরি প্রস্তুতি সভা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, রাজধানী ঢাকার উত্তর প্রান্ত থেকে কর্মসূচিতে যোগদান করতে আসা দলীয় নেতা-কর্মীদের হাতিরঝিল, মগবাজার ও মৎস্য ভবনের সড়কসমূহ এবং ঢাকার দক্ষিণ প্রান্ত থেকে আসা দলীয় নেতাকর্মীদের গুলিস্তান, হাইকোর্ট মাজার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সড়কসমূহ ব্যবহার করতে হবে এবং সড়কসমূহে সর্ব সাধারণের চলাচলের সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে হবে।

একইসঙ্গে সভায় শোভাযাত্রাটি বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন এবং বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি সাংগঠনিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ অনুরূপভাবে সারাদেশে একযোগে ‘বিজয় শোভাযাত্রা’ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।