ইউরোপ-আমেরিকায় করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের দাপটের মধ্যে প্রতিবেশী দেশ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে করোনা শনাক্ত একদিনে একলাফে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। শনিবার (১ জানুয়ারি) সেখানে ২ হাজার ৭১৬ জন শনাক্ত হয়েছেন; শনাক্তের হার ৩.৬৪ শতাংশ। এর আগের দিন শুক্রবার শনাক্ত হন ১ হাজার ৭৯৬ জন; এ দিন শনাক্তের হার ছিল ১.৭৩ শতাংশ। ভারতের সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

শনাক্তের এই প্রবণতাকে সংক্রমণের শুরুর দিকের চেয়ে আশঙ্কাজনক মনে করা হচ্ছে। এ দিন দিল্লিতে রেকর্ড সংখ্যক ২৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ৪.৭৬ শতাংশ। গত ২১ মে’র পর এটিই করোনায় দিল্লিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু। ২১ মে সেখানে ৩ হাজার ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ১ হাজার ৩১৩ জন করোনা শনাক্ত হন। এ দিন শনাক্তের হার ছিল ২.৪৪ শতাংশ।

গত কয়েকদিনে দিল্লিতে এত বেশি মানুষ করোনা শনাক্ত হওয়ার পেছনে ওমিক্রনের প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত শহরটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৫ হাজার ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

হঠাৎ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দিল্লিতে ‘হলুদ সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। স্কুল ও জিম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অর্ধেক লোক দিয়ে সরকারি-বেসরকারি অফিস পরিচালনা, অর্ধেক যাত্রী বহনের শর্তে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট চালু রাখা এবং রাতে কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন শনিবার বলেছেন, ‘রাজধানীতে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা দরকার কিনা তা পর্যালোচনা করা হবে; যদিও হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি এখনও উদ্বেগজনক নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিশুদের জন্য হাসপাতালে ৩ হাজার বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। সর্বদা নিজেকে নিরাপদ রাখতে হবে। যখনই বাড়ির বাইরে যাচ্ছি, তখনই মাস্ক পরতে হবে। এটি আমাদের করোনাভাইরাসের আরও বিস্তার বন্ধ করতে সাহায্য করবে।’