ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের এক জওয়ানের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে বামনগোলা থানার খুটাদহ সীমান্তের জলাশয় থেকে ওই জওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

সীমান্তে দায়িত্বপালনরত বিএসএফের এই জওয়ানের মরদেহ উদ্ধার ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বিএসএফের দাবি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ওই জওয়ানকে পাচারকারীরা পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেছে। তবে এ ব্যাপারে বিএসএফের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ করা হয়নি।

মালদহ পুলিশ বলছে, বিএসএফের মৃত জওয়ানের নাম বিবেক তিওয়ারি (২৯)। তিনি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। বিএসএফের ১৫৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নে কর্মরত ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে যোগ দেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, সোমবার সকাল ৬টার দিকে মালদহের বামনগোলার খুটাদহ সীমান্তের হাঁড়িয়া জলাশয়ে বিবেক তিওয়াড়িকে পড়ে থাকতে দেখেন বিএসএফের অন্য জওয়ানরা। পরে তাকে উদ্ধার করে নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে যান তারা। সেখানে ক্যাম্পের মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

বিএসএফ বলছে, ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন চোরাকারবারীরা। ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত চার বার সীমান্তে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’জন নিহত ও আরও দু’জন আহত হয়েছেন। নিহত এবং আহতরা বাংলাদেশের নাগরিক বলে দাবি করেছে বিএসএফ। কোচবিহারে বিএসএফের গুলিতে স্থানীয় এক ভারতীয় নাগরিকও প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। কিন্তু বিএসএফ বলছে, হতাহতের শিকার প্রত্যেকেই পাচারের সঙ্গে যুক্ত।

মালদহ মেডিক্যালে বিবেক তিওয়ারিকে নিয়ে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএসএফ জওয়ান বলেন, ‘খুটাদহ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই। সীমান্তে জলাশয় রয়েছে। সোমবার রাতে টহলের দায়িত্বে ছিলেন বিবেক তিওয়ারি। তাকে বাংলাদেশের পাচারকারীরা টেনে নিয়ে গিয়ে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছে।’

মালদহের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ময়না-তদন্তের পাশাপাশি ভিসেরা পরীক্ষাও করা হবে। নিহত জওয়ানের নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতায় পাঠানো হবে।