মাদরাসায় না যাওয়ায় ছাত্রকে (১৫) বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার দুপুরে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার খরিয়া কাজীরচর পূর্ব খরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. আমানুল্লাহ। তিনি শ্রীবরদী উপজেলার নূর হেরা নূরানী তালিমুল কোরআন হাফেজিয়া মাদরাসার শিক্ষক। শিক্ষক আমানুল্লাহ শেরপুর জেলা শহরের উত্তর গৌরীপুর এলাকার মো. আব্দুল্লাহর ছেলে।

মঙ্গলবার সকালে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. খাইরুল কবীর সুমন।

আহত ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শ্রীবরদী উপজেলার নূর হেরা নূরানী তালিমুল কোরআন হাফেজিয়া মাদরাসায় পড়ালেখা করত পূর্ব খরিয়া গ্রামের আসিফুল ইসলাম বিজয়। সে একই গ্রামের খলিলুর রহমান খোকনের ছেলে। সে মাদরাসায় না যাওয়ায় সোমবার তাকে বেধড়ক পেটায় শিক্ষক আমানুল্লাহ। এ ঘটনায় মাদরাসার অন্য ছাত্ররা বিজয়কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর বিজয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতেই তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

মাদরাসাছাত্র আসিফুল ইসলাম বিজয় বলে, সোমবার দুপুরে আমাকে ডেকে নিয়ে যায় আমানুল্লাহ স্যার। এরপর হঠাৎ তিনি আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বেত দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। এ সময় আমি স্যারকে না মারতে অনেক অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি তা শোনেননি।

মানবাধিকার সংস্থা আমাদের আইন শেরপুর জেলা শাখার চেয়ারম্যান নূর-ই-আলম চঞ্চল বলেন, ঘটনাটি শুনেই রাতে আমরা হাসপাতালে ছুটে যাই। একজন কিশোরকে এমন বর্বরোচিত নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সেইসঙ্গে দোষী শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হুমায়ুন আহমেদ নূর  বলেন, ওই ছাত্রকে সোমবার রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। তার পিঠে ও হাতে জখম রয়েছে। সে পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।