রাজধানী ঢাকায় গেল কয়েকদিন ধরে যানজট পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর থেকে এই পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে স্থবির যানজট নাগরিক দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলেছে। রাস্তায় যাত্রী সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি মেট্রোরেল, ঢাকা উড়াল সেতু, বিভিন্ন স্থানে সড়ক নির্মাণ ও প্রশস্তকরণ কাজের জন্য চলাচলের রাস্তা কমে গেছে রাজধানীতে। ফলে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে নগরবাসীকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা।

আজ বুধবার সকাল থেকেই যানজটে স্থবির হয়ে গেছে ঢাকার প্রধান সড়কগুলো। রাজধানীর মিরপুর থেকে শুরু করে প্রেসক্লাব, কাকরাইল, রামপুরা, বাড্ডা এমনকি বিমানবন্দর সড়কেও ছিল বাড়তি গাড়ির চাপ।

যানজটে দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মঈন উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, গত চারদিন ধরে রাজধানীতে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ কারণে আমাদের ট্রিপ কমে গেছে। আগে যেখানে দিনে ৩-৪ হাজার টাকা আয় করা যেত সেখানে এখন এক হাজার টাকাও আয় করতে পারছি না। অটোরিকশার মালিককে দিনের জমা দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

মোটরসাইকেল চালক হাসনাত ইমাম বলেন, মিরপুর-১২ নম্বর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যেতে আগে প্রায় ৪০ মিনিট লাগত, এখন লাগে প্রায় দুই ঘণ্টা। আমাদের ট্রিপও কমে গেছে।

অটোরিকশার যাত্রী সাইমুম ইকবাল বলেন, একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য আগেভাগেই বাসা থেকে বের হয়েছি। তারপরও পথে আটকা পড়তে হলো। ঢাকায় একের পর এক ফ্লাইওভার তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু যানজট নিরসন হচ্ছে না। বরং যানজট দিন দিন বাড়ছে। আমরা যেন এক অবরুদ্ধ নগরীতে আছি।

মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ডিএমটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক অবশ্য বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে মেট্রোরেল চালু করা হলে যানজট কমে যাবে।

যানজট নিয়ন্ত্রণে কোন সংস্থার পক্ষ থেকেই পদক্ষেপ নেই তেমন।