গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ব্রাম্পটন সিটি হলে বাংলাদেশের পতাকা উড়েছে। ব্রাম্পটন বাংলাদেশি কমিউনিটি সার্ভিসের (বিবিসিএস) আয়োজনে এ পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করে সিটি অফ ব্রাম্পটন।

শীতের কনকনে ঠান্ডা, বরফ শীতল বৃষ্টি উপেক্ষা করে ব্রাম্পটন ও আশপাশের শহরের দুই শতাধিক বাংলাদেশি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সিটি অফ ব্রাম্পটনের মেয়র পেট্রিক ব্রাউন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি মেয়র প্যাট ফরটিনি, কাউন্সিলর গুরপ্রিত ডিলন। অন্যান্যের মধ্যে কানাডা সরকারের মন্ত্রী এবং লিবারেল পার্টির এমপি কমল খেরা, এমপি সোনিয়া সিধু, এমপি রুবী সোহাতা এবং অন্টারিও পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় ডেপুটি লিডার এমপিপি সারা সিং এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে মেয়র ব্রাউন তার শহরে বাংলাদেশিদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবদানের কথা উচ্ছ্বসিতভাবে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশি খাবার এবং সংস্কৃতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, অতীতের মতো ভবিষ্যতেও তিনি ও তার সিটি সবসময় বাংলাদেশিদের পাশে থাকতে গর্ববোধ করবে।

কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী কমল খেরা বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বিশেষভাবে দেশত্যাগে বাধ্য ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের সরকারের প্রশংসা করেন। তিনি আরও বলেন, কানাডাকে বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্যিক এবং উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে চিহ্নিত করে তার সরকার সবসময় প্রাধান্য দিয়ে আসছে।

উল্লেখ্য, কমল খেরা ২০১৯ সালে কানাডা সরকারের পক্ষে বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কানাডা সরকারের আর্থিক সাহায্যে পরিচালিত কর্মকাণ্ড পরিদর্শনের জন্য।

বিবিসিএসের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে শিশুদের জন্য ফেস পেইন্টিং, বেলুন, চকলেট এবং সবার জন্য নানা ধরনের নাস্তা-কফির ব্যবস্থা করা হয়।

বিবিসিএসের পক্ষ আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলাদেশের পতাকার ডিজাইন করা স্কার্ফ উপহার দেওয়া হয়, যা পেয়ে তারা উচ্ছ্বসিত হন ও আগ্রহ নিয়ে পরিধান করেন। বিদেশের মাটিতে নিজের শহরে বাংলাদেশের পতাকা উড়তে দেখা বাংলাদেশিদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।

উল্লেখ্য, কানাডার অন্টারিও প্রদেশের গ্রেটার টরন্টো এলাকার ব্রামপটন শহরে বিশাল সংখ্যক বাংলাদেশি অধিবাসীদের বসবাস। প্রবাসীদের সংগঠন ব্রামপটন বাংলাদেশি কমিউনিটি সার্ভিস (বিবিসিএস) দীর্ঘদিন ধরে এ শহরে বাংলাদেশি সংস্কৃতি প্রসারের পাশাপাশি কানাডিয়ান মূলধারার সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে বাংলাদেশিদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।