এভারটন ম্যাচ হারের ক্ষোভ তখন সঙ্গী। ড্রেসিং রুমে ফেরার সময় হঠাৎই টানেলে দাঁড়িয়ে ভিডিও করা এক কিশোরের ফোন ভেঙে ফেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা অবশ্য পরে ক্ষমা চেয়েছেন ঘটনাটির জন্য। ১৪ বছরের কিশোর জ্যাক হার্ডিংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আসারও।

ব্যাপারটা গড়িয়েছে পুলিশ অবধি। জানা গেছে, ওই কিশোর প্রথমবারের মতো দেখতে গিয়েছিল ফুটবল ম্যাচ। তার ফোন ভেঙে ফেলায় রোনালদোর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এবার পর্তুগিজ তারকার দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করেছে জ্যাক নামের ওই কিশোরের পরিবারও।

লিভারপুল ইকোকে জ্যাকের মা সারাহ বলেছেন, ‘ইউনাইটেড খুব ভয়ংকরভাবে ব্যাপারটাকে সামলেছে। সত্যি বলতে এটা আসলে বিষয়টাকে আরও খারাপ করেছে।’

‘ঘটনাটাকে আমি যেভাবে দেখি- কেউ আপনাকে রাস্তায় লাঞ্ছিত করল আর এরপর রাতে খাবার খেতে যেতে বলল! আমরা যাব না, কেন যাব, শুধু সে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বলে? এতে বিষয়টা দাঁড়াবে এমন, আমরা তার কাছে ঋণী। কিন্তু আমি দুঃখিত, আমরা তা নই।’

‘আমরা বিনয়ের সঙ্গে ইউনাইটেডে যাওয়া প্রত্যাখ্যান করছি কারণ জ্যাক সেখানে যেতে এবং রোনালদোকে দেখতে চায় না। সে এটা খুব পরিষ্কার করে বলেছে। এখানে আমার কোনো কথা নেই, এটা আমার ছেলে বলেছে। দিনশেষে, এটা তারই ব্যাপার।’

‘এটা আমার চেয়ে তাকে বেশি প্রভাবিত করেছে। আমি নিজের সবকিছু দিয়ে তার মানসিক উন্নতির চেষ্টা করছি- সে ইউনাইটেড যেতে এবং রোনালদোকে দেখতে চায় না। আমি এখানে যেটা নিয়ে কথা বলছি, পুরো বিষয়টাই পুলিশের হাতে।’

এর আগে ইনস্টাগ্রামে ক্ষমা চেয়ে রোনালদো লিখেছেন, ‘আমরা যে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়েছি এমন কঠিন মুহূর্তে আবেগ সামলে রাখা কখনোই সহজ কাজ নয়। তবুও, এই সুন্দর খেলাটার প্রতি ভালোবাসা বাড়াতে আমাদের সবসময় সম্মান, ধৈর্য ও উদাহরণ তৈরি করতে হবে তরুণদের জন্য।’

পর্তুগিজ তারকা আরও লিখেছেন, ‘আমি নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চাই আর যদি সম্ভব হয় ওই সমর্থককে ওল্ড ট্রাফোর্ডে আমন্ত্রণ জানাতে চাই স্পোর্টসম্যানশিপ ও ফেয়ার প্লের স্বাক্ষর হিসেবে।’