ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর মারিউপোলের কারখানায় এখনও আটকা বহু বেসামরিক মানুষ। তার মধ্যেই ক্রমাগত বোমাবর্ষণ করে চলেছে রুশ সেনারা। এতে বহু মানুষের হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে।

রেডক্রস এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় মারিউপোলের আজবস্টাল ইস্পাত কারখানা থেকে এখনও পর্যন্ত ১০০ মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনও শতাধিক বেসামরিক ব্যক্তি সেখানে আটকে রয়েছে বলে ইউক্রেন জানিয়েছে।

মঙ্গলবার রাত থেকে লাগাতার বোমাবর্ষণ শুরু করেছে রাশিয়া। কারখানাটিকে ভেঙে তছনছ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা।

বস্তুত, ওই কারখানাটি ইউক্রেনের সেনার শেষ দুর্গ। বাকি মারিউপলে কয়েকমাস ধরে দুই পক্ষের লড়াই হয়েছে। ইউক্রেনের সেনা এখন ওই কারখানার ভিতর থেকে লড়াই চালাচ্ছে। মারিউপোলে আটকে যাওয়া বেসামরিক ব্যক্তিদেরও ওই কারখানার ভিতর থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।

কারখানা থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। প্রায় ১১ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত ওই কারখানাটি। ভিতরে বাঙ্কার আছে, সুড়ঙ্গ আছে। মাটির নীচের বাঙ্কারেই আশ্রয় নিয়েছেন বেসামরিক ব্যক্তিরা।

তারা জানিয়েছেন, স্যাঁতস্যাঁতে মেঝেতে বসে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে হয়েছে তাদের। একের পর এক বোমাবর্ষণ হয়েছে, আর উপরের মাটি কেঁপে কেঁপে উঠেছে। প্রতিবারই মনে হয়েছে, এবার ভেঙে পড়বে সব। যারা এখনো সেখানে আটকে, তাদের জন্য চিন্তিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা।

জাতিসংঘের প্রধানকে রাশিয়া জানিয়েছিল, জাতিসংঘ এবং রেডক্রস হস্তক্ষেপ করলে তারা ওই কারখানায় আটকে থাকা বেসামরিক মানুষদের উদ্ধারের সুযোগ করে দেবে। কিন্তু তারা সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছে না বলেই সকলকে উদ্ধার করা য়ায়নি বলে মনে করা হচ্ছে। তারই মধ্যে মঙ্গলবার থেকে আবার সেখানে বোমাবর্ষণ শুরু হয়েছে। এতে বেশ কিছু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পরিবারের খাওয়ার জন্য রুটি ঠিকই কিনে এনেছিলেন ভিক্টর৷ নিজের অ্যাপার্টমেন্টের ঠিক বাইরেই যখন গোলা এসে পড়ে, তার হাতে তখনও ধরা ছিল সেই রুটি৷ রুটি কিনতে গিয়ে গোলার আঘাতে মৃত্যু। রুটি আর খাওয়া হলো না।

পরিবারের খাওয়ার জন্য রুটি ঠিকই কিনে এনেছিলেন ভিক্টর৷ নিজের অ্যাপার্টমেন্টের ঠিক বাইরেই যখন গোলা এসে পড়ে, তার হাতে তখনও ধরা ছিল সেই রুটি৷

সূত্র: রয়টার্স, এপি, এএফপি