পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে আজ রোববার (৮ই মে) থেকে পুরোদমে শুরু হয়েছে সচিবালয়সহ সব ব্যাংক-বীমা, অফিস-আদালত এর কাজ। রাজধানীতে ধীরে ধীরে ভিড় করছে নাড়ির টানে গ্রামে যাওয়া মানুষগুলো। এরআগে বৃহস্পতিবার অফিস আদালত খোলা থাকলেও,  সেদিন উপস্থিতি ছিল খুবই কম। ঈদের ছুটি এলেই রাজধানীর চিরাচরিত চিত্র যেন নিমেষেই পাল্টে যায়। মহল্লা, অলিগলি, এমনকি প্রধান সড়ক সব ফাঁকা হয়ে যায়। এমন চিত্র ছিল গত কয়েক দিনের।

তবে দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। ঈদের সরকারি ছুটি বৃহস্পতিবার শেষ হলেও শুক্র ও শনিবার দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটির কারণে অনেকে কর্মস্থলে আসেনি। তবে সাপ্তাহিক ছুটি শেষ হওয়ায় আজ থেকে স্বাভাবিক হয়েছ দেশের অফিস আদালত।

গতকাল ছিল সড়ক, রেল ও নৌপথে ঢাকামুখী মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। ট্রেন, বাস ও লঞ্চে করে রাজধানীর কর্মস্থলে ফিরেছে কয়েক লাখ মানুষ। দেশের বাড়িতে ঈদ উদযাপন শেষে পরিবার-পরিজন নিয়ে শনিবার রাতেও ফিরেছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ।রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, সদরঘাট, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঈদ ফেরত মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আজ থেকে ফের দেখা যেতে পারে রাজধানীর চিরচেনা যানজট।

গতকাল কমলাপুর রেল স্টেশনে আসা বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনেও নগরবাসীর ফেরার চিত্র দেখা যায়। ট্রেনগুলো ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। এবার স্বস্তির সঙ্গেই কর্মস্থলে ফেরার কথা বলেছেন অনেকে। তবে টিকেট সংকটের কথা জানিয়েছে কেউ কেউ।

বিআইডব্লিওটি-এর সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার  ও শনিবার ১০০টিরও বেশি লঞ্চ সদরঘাট থেকে ছেড়ে গেছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে তুলনামূলক অনেক বেশি। অন্যদিকে বরিশাল থেকে যে লঞ্চগুলো গতকাল সদর ঘাটে এসেছে তাতে যাত্রী সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। লঞ্চের ডেকে ছিল উপছে পড়া ভিড়।

প্রসঙ্গত, সরকারি ছুটির হিসাব অনুযায়ী গত ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ছিল শেষ কর্মদিবস। পরদিন শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এরপর পহেলা মে রবিবার ছিল মে দিবস। তারপর ২ থেকে ৪ঠা মে ঈদের ছুটি। তার একদিন পরই আবার সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার। মাঝখানে শুধু একদিন ৫ই মে (বৃহস্পতিবার) ছিল কর্মদিবস।