ভারতীয় বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় মুখ পল্লবী দে’র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। (রোববার) সকালে অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে তাঁর মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়।

আনন্দবাজার পত্রিকা ও এবিপি লাইভের খবর, গড়ফার বাড়ি থেকে উদ্ধার সিরিয়াল অভিনেত্রী পল্লবী দের ঝুলন্ত দেহ। গড়ফার গাঙ্গুলিপুকুর এলাকায় বাড়ি। পরিবারের দাবি, আজ সকালে অভিনেত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে গড়ফা থানার পুলিশ।

গড়ফার গাঙ্গুলিপুকুর এলাকার বহুতলে থাকতেন পল্লবী। জানা গেছে, বছর দেড়েক ধরে সাগ্নিক নামের এক যুবকের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন তিনি। দু’জনে একই ফ্ল্যাটে থাকতেন। শনিবার রাতে পল্লবী ও তাঁর প্রেমিক আলাদা আলাদা বেডরুমে শুতে যান। বেডরুমের কমন দরজা। সকালে দরজা খুলে সিগারেট খেতে যান সাগ্নিক। মিনিট দশ পরে ফিরে আসেন। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ পান।বেল টিপে সাড়া পাননি। ফাঁক দিয়ে দেখেন ওই অভিনেত্রীর দেহ ঝুলছে। জোরে ধাক্কা দিয়ে দরজা ভাঙেন সাগ্নিক। ভিতরে ঢুকে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে ওড়না জড়িয়ে ঝুলছে অভিনেত্রীর দেহ।  কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।

২০১৭ সাল থেকে বাংলা টেলিভিশনে কাজ করছেন পল্লবী। ‘আমি সিরাজের বেগম’ সিরিয়ালে শন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টার জলসা চ্যানেলে শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটি। ২০১৯ সালে মে মাসে শেষ হয়ে যায়। এরপর ‘রেশম ঝাঁপি’, ‘কুঞ্জছায়া’, ‘সরস্বতীর প্রেমে’র মতো সিরিয়ালে দেখা যায় পল্লবীকে।

ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নথিভূক্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে গড়ফা থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলা টেলিভিশনে কাজ করছিলেন পল্লবী। তাঁর জনপ্রিয়তাও ছিল। তারপরও কীভাবে এই অস্বাভাবিক মৃত্যু? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এদিকে আচমকা পল্লবীর মৃত্যুর খবর পেয়েই ফ্ল্যাটের সামনে চলে আসেন সায়ক, ভাবনার মতো অভিনেতারা। পল্লবীর মতো একজন প্রাণবন্ত মেয়ের এভাবে মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই কি বাংলা টেলিভিশনের অভিনেত্রীর আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন? আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।