এবার হজ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি পেলো ৭৮০ এজেন্সি। এর আগে গত ৮ মে প্রথম ধাপে ৬১০টি হজ এজেন্সিকে চলতি বছর হজ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ধাপে গত ৯ মে অনুমোদন পায় ৯০টি হজ এজেন্সি। রোববার (১৫ মে) তৃতীয় ধাপে ৮০টি হজ এজেন্সিকে হজ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে।
হজ এজেন্সি অনুমোদনের আদেশে বলা হয়েছে, প্রত্যেক হজযাত্রীর সঙ্গে হজ অনুমোদন পাওয়া এজেন্সিগুলোর লিখিত চুক্তি করতে হবে। প্রত্যেক এজেন্সি চলতি বছর সর্বোচ্চ ৩০০ জন এবং সর্বনিম্ন ১০০ জন হজযাত্রী পাঠাতে পারবে।
এতে আরও বলা হয়, প্রত্যেক হজ এজেন্সিকে মিনা, আরাফাহ ও মুজদালিফায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক হজকর্মী নিয়োগ করতে হবে।
যেসব এজেন্সির লাইসেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে এবং এ পর্যন্ত হালনাগাদ কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেনি, বিভিন্ন অভিযোগে শাস্তি বা জরিমানা পাওয়া, সৌদি আরবে কালো তালিকাভুক্ত এবং অভিযোগ তদন্তাধীন- এ ধরনের এজেন্সিসমূহের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
তালিকা প্রকাশের পর কোনো হজ এজেন্সির তথ্য ভুল বা অসত্য প্রমাণিত হলে এবং কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় কারণ দর্শানো ছাড়াই সংশ্লিষ্ট এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাতিলের অধিকার সংরক্ষণ করে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, অনিবন্ধিত কোনো ব্যক্তিকে হজযাত্রী হিসেবে হজে নেওয়া যাবে না। কোনো এজেন্সি এ ধরনের উদ্যোগ নিলে কারণ দর্শানো ছাড়াই ওই এজেন্সির লাইসেন্স বাতিলসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন মুসল্লি হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন।
এবার সরকারিভাবে হজে যেতে ২টি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। প্যাকেজ-১ এর মূল্য ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এর মূল্য ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা। বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা।