দেশের ইতিহাসে ১ম বারের মত খোলা বাজারে ডলারের দাম ছাড়িয়েছে ১শ টাকা। মানি এক্সচেঞ্জগুলোগুলোতে ডলারের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী ডলার সরবরাহ করতে পারছে না মানিএক্সচেঞ্জগুলো। এক দিনের ব্যবধানে খোলা বাজারে মার্কিন ডলারের দাম ৪ টাকা বেড়ে ১০২ টাকা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মানি এক্সচেঞ্জে প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১০২ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।

রাজধানীতে গতকালও ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৯৮ টাকা। আজ বাজারে ডলার নেই বললেই চলে। আজ ১০১ টাকা ৫০ পয়সায় ডলার বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা বৃদ্ধি ও সংকটের কারণে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমায়। প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময়মূল্য ৮০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।

গত জানুয়ারি মাসের শুরুতে ডলারের বিনিময়মূল্য ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সর্বশেষ ৯ মে ডলারের বিনিময়মূল্য ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার কারণে দীর্ঘসময় মানুষ দেশের বাইরে যাননি। ফলে এখন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় অনেক মানুষ চিকিৎসার প্রয়োজনে বা ঘুরতে দেশের বাইরে যাচ্ছেন। আবার, আগামী মাসেই হজগামী যাত্রীরা সৌদি আরব যাবেন। ফলে ডলারের চাহিদা অনেক বেড়েছে। সেই অনুপাতে সরবরাহ কম থাকায় ডলারের দামও অনেক বেশি বেড়ে গেছে। তাদের মতে, যিনি যে দেশে যাচ্ছেন, তার জন্য সেই দেশের মুদ্রা সহজলভ্য করা হলে তা ডলারের ওপর চাপ কমাতে পারে।

তাদের মতে, সাধারণত বিদেশ থেকে যারা আসেন, তারা সঙ্গে করে ডলার নিয়ে আসেন। নগদ ডলারের যোগানের এটাই একমাত্র মাধ্যম। আর দেশের মানুষের হাতে যা থাকে, তা অনেক সময় বিক্রি করেন। এ ছাড়া বিদেশি পর্যটকেরা ডলার বিক্রি করে টাকা নেন। কিন্তু এখন ডলার বিক্রি করতে খুব বেশি গ্রাহক আসেন না। ব্যবসায়ীরা নিজেদের হাতে থাকা ডলার বিক্রি করছেন। অর্থাৎ খোলাবাজারে চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়ায় ডলারের দাম বাড়ছে।