প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপিকে জনগণ আর ভোট দেবেনা, কারণ তাদের যোগ্য নেতৃত্ব নেই। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। যারা ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, তাদের নির্বাচনের মাঠে আসার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ তাদের ভোট কেড়ে নেবে না। যারা দেশের উন্নয়নের সমালোচনা করেন, তারা পাকিস্তানের সারমেয় বলেও আখ্যা দেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি। এতে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে ৭৫ সালের পর তার প্রবাস জীবন, দেশে ফিরে আসা, রাজনৈতিক কর্মকান্ড, নির্বাচন, সরকার পরিচালনা ও নানা বিষয়ে খোলামেলা বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। বলেন, ৮১ সালে নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে তিনি দেশে ফিরে দলকে সংগঠিত করেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রক্ষমতায় নিয়ে দেশের উন্নয়ন করে চলেছেন। কারো কারো চোখে এসব উন্নয়ন ধরা পড়ে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে জিয়াউর রহমান। নির্বাচনের নামে প্রহসনের শুরু তার হাত ধরেই। আগামি নির্বাচনে তার দল বিএনপিকে জনগণ আর ভোট দেবে না।

সাম্প্রতিক সময়ে অনেকে সরকারের নানা সমালোচনায় মুখর হয়েছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের ক্ষতায় যাওয়ার ইচ্ছে হলে ভোটের মাঠে আসতে হবে।

পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের শুরুর দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সরকার প্রধান বলেন, সেতুর কাজ হয়ে গেছে এখন সেতু নিয়ে কথা বলে পারছে না। এখন রেলের কাজ চলছে, এখন রেলের কাজ নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন। আমার মনে হয় আমাদের সবার ওনাকে চিনে রাখা উচিত। রেল গাড়ি যখন চালু হবে তখন ওনাকে নিয়ে রেলে চড়ানো উচিত। আর খালেদা জিয়া বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে। কারণ বিভিন্ন স্প্যানগুলো যে বসাচ্ছে ওটা ছিল তার কাছে জোড়াতালি দেওয়া। বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না, চড়লে ভেঙে পড়বে। তার সঙ্গে তার কিছু দোসররাও। এখন তাদের কী করা উচিত?

তিনি বলেন, পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত। আর যিনি আমাদের একটা এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর মতো সেতুর টাকা বন্ধ করেছে তাকেও আবার পদ্মা নদীতে নিয়ে দুইটা চুবানি দিয়ে উঠাইয়া নেওয়া উচিত। মরে যাতে না যায়। একটু পদ্মা নদীতে দুইটা চুবনি দিয়ে সেতুতে তুলে দেওয়া উচিত। তাহলে যদি এদের শিক্ষা হয়। বড় বড় অর্থনীতিবিদ, জ্ঞানী-গুণি এই ধরনের অর্বাচিনের মতো কথা বলে কীভাবে? সেটাই আমার প্রশ্ন। মেগা প্রজেক্টগুলো করে না কী খুব ভুল করছি। তারা আয়েশে বসে থাকে আর আমার তৈরি করা সব টেলিভিশনে গিয়ে কথা বলে। বিদ্যুৎ সরবরাহ করি। সেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে।