সামুদ্রিক মাছের বাধাহীন প্রজনন ও বৃদ্ধির জন্য আজ মধ্যরাত থেকে বঙ্গোপসাগরে শুরু হচ্ছে ৬৫ দিনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা। ২০শে মে থেকে ২৩শে জুলাই পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মৎস্য বিভাগ।

ইতিমধ্যে মহিপুরের পোতাশ্রয় শিববাড়িয়া নদীতে আশ্রয় নিয়েছে সহস্রাধিক মাছ ধরা ট্রলার। বছরজুড়ে ইলিশের আকাল, তার উপর মৎস্য বিভাগের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলেসহ ব্যবসায়ীরা।

ট্রলার মালিকরা জানান, সাগরে মাছধরার উপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইতোমধ্যে কক্সবাজারের প্রায় নব্বই শতাংশ মাছধরার নৌকা বঙ্গোপসাগর থেকে ঘাটে ফিরে এসেছে। বাকি ট্রলারগুলো বৃহস্পতিবার বিকালের মধ্যে ঘাটে ফিরে আসবে। তবে গতকাল বুধবারই কক্সবাজার থেকে শেষবারের মতো মাছ সরবরাহ করা হয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ জেলার বাইরে। কাল বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে যেসব ট্রলার মাছ ধরে আনবে তা স্থানীয় বাজারেই বিক্রি হবে।

এছাড়া নিষিদ্ধকালীন সময়ে ভারতীয় জেলেদের আগ্রাসন বন্ধ এবং অপ্রতুল খাদ্য সহায়তা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে অবরোধকালীন সময়ে জেলার নিবন্ধিত ৪৭ হাজার ৮শ’৫ জন নিবন্ধিত ইলিশ জেলেকে ৮৬ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য বিভাগ।