গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পানিতে ভাসছে সিলেট ও সুনামগঞ্জে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯শে মে) বৃষ্টিপাত কম থাকলেও নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে উজানের পানি নামতে থাকায় নতুন করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সিলেট নগরীতে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহও বিঘ্নিত হওয়ায় সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে নগরবাসী।
সিলেট সদর ছাড়াও কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, ঔষধ, জ্বালানি তেলের দোকান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মানবিক বিপর্যয়ের শংকা দেখা দিয়েছে। এদিকে, সুনামগঞ্জের হাওরগুলোতে পানির চাপ বাড়ছে। পানিবন্দি রয়েছে ৫টি উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপদ সীমার ১ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেটের জকিগঞ্জে অমলশীদ পয়েন্টে গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে নতুন নতুন এলাকায় ঢুকছে পানি। সিলেট জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩২৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। এর মধ্যে ৯৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৭ হাজার ৩৪৯ জন বন্যা কবলিত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এরই মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। নগরী থেকে সামান্য পানি নামলেও একই অবস্থায় রয়েছে নগরবাসীর ভোগান্তি।
অন্যদিকে, নেত্রকোণায় বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন নদীর পানি আবারও বাড়ছে। এছাড়া, উজানের ঢল আর বৃষ্টির কারণে লালমনিরহাটে তিস্তায় পানি বাড়ছে।