ব্রিটেন, স্পেন, বেলজিয়াম, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া এবং কাডানাসহ বিশ্বের অন্তত ১১টি দেশে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আরও মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হবে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে প্রথম মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয় যুক্তরাজ্যে। ডব্লিউএইচও বলেছে, সন্দেহভাজন আরও ৫০ জনের মাঙ্কিপক্স শনাক্তের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে সন্দেহভাজন এসব মাঙ্কিপক্স রোগী কোন কোন দেশের তা জানায়নি সংস্থাটি।

বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে মাংকিপক্স নামের বিরল রোগ। কীভাবে এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব কিংবা কী পদ্ধতিতে এর মোকাবেলা করা যায় তা নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। চলতি মে মাস থেকেই এই ভাইরাসের আক্রান্ত শুরু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈঠকে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার কারণ খুঁজতে বিস্তারিত আলোচনা হবে। এরই মধ্যে মাঙ্কিপক্সের হাত থেকে নিস্তার পেতে কোন ভ্যাকসিন কার্যকরী হবে তা নিয়ে নানাবিধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে।

১৮ই মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস বিভাগের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রথম একজন ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কিপক্সের সন্ধান পান। তিনি সম্প্রতি কানাডা থেকে ফিরেছেন।যারা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে। তবে এখনই সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কতটা কারণ রয়েছে, তা নিয়েই কাটাছেঁড়া করছে বিশ্বের চিকিৎসকমহল।

মাঙ্কিপক্স রোগ হলে জ্বরে ভোগেন অনেকে। দেহে তৈরি হয় বড় বড় ফোস্কা। বর্তমানে টিকাকরণের জন্য স্মলপক্স অনেকটাই সেরে উঠেছে। এখনও পশ্চিম আফ্রিকাসহ একাধিক দেশে মাঙ্কিপক্সের দেখা পাওয়া যায়।

১৯৫৮ সালে প্রথম মাঙ্কিপক্স পাওয়া গিয়েছিল। মূলত ইঁদুর থেকেই এই ভাইরাস ছড়ায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। তবে মূল চিন্তার বিষয় একজন আক্রান্তের থেকে মাঙ্কিপক্স অন্য ব্যক্তির দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মাঙ্কিপক্সের থেকে স্মলপক্স অনেকটাই আলাদা। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তদের দেহে বড়বড় ফোস্কা পড়ে।