সকাল থেকেই মেঘলা আকাশের নিচে পুরো একটা সেশন খেলা চললো। কিন্তু মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগে ফের বৃষ্টির আভাস এবং বিরতির মাঝে নামলো ঝুম বৃষ্টি।ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনে যে কারণে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই লাঞ্চ বিরতি ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের দেওয়া ৩৬৫ রানের জবাবে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। দিনের প্রথম ওভারেই নাইট ওয়াচম্যান কাসুন রাজিথাকে ফেরান এবাদত হোসেন। আউট হওয়ার আগে রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।

এরপর অবশ্য জুটি গড়ার চেষ্টা করেন দ্বিমুথ করুণারত্নে ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। তবে এই জুটিকে জমতে দেননি সাকিব আল হাসান। ৫৬তম ওভারে সাকিবের ফ্লাইটে চূড়ান্তভাবে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হন করুণারত্নে। আউট হওয়ার আগে এই ব্যাটার করেন ১৫৫ বলে ৬০ রান।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭০.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২১০ রান। এখনো তারা পিছিয়ে ১৫৫ রানে। এর আগে, বুধবার (২৫শে মে) সকাল ১০টায় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হয় খেলা। শ্রীলঙ্কার হয়ে ক্রিজে আছেন ৭০ রান করা দ্বিমুথ করুণারত্নে ও নাইট ওয়াচম্যান কাসুন রাজিথা।

এদিকে, মিরপুরে বাংলাদেশের প্রথম দিনের শুরুটা ছিল হতাশায় মোড়া। মাত্র ২৪ রানে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের ৫ ব্যাটার। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম।  ৬ষ্ঠ উইকেটে এই দুজনের ২৫২ রানের ইতিহাস গড়া ইনিংসে শক্ত ভিত পায় বাংলাদেশ।

মুশফিকুর রহিমের ১৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস ও লিটন দাসের ১৪১ রানে ভর করে বাংলাদেশ করে ৩৬৫ রান। যদিও একই ম্যাচে ছয় ব্যাটার আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। লিটন-মুশফিক বাদে নয় ব্যাটারের সম্মিলিত সংগ্রহ ছিল ৩২। শ্রীলঙ্কার কাসুন রাজিথা ২৭.২ ওভারে ৬৪ রানে ৫ উইকেট ও আসিথা ফার্নান্দো ২৬ ওভারে ৯৩ রানে নেন ৪ উইকেট।

দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনার ওসাদা ফার্নান্দোর বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদনে সড়া দেন আম্পায়ার। তবে সাথে সাথেই রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ওশাদা, ভাগ্য গেল অধিনায়ক মুমিনুল হকের বিপক্ষে। উইকেট বঞ্চিত খালেদ আহমেদ। এরপর যত সময় গড়িয়েছে ততই ম্যাচের দখল নিয়েছে শ্রীলঙ্কা দল। দ্বিতীয় দিন শেষে দুই উইকেটে তারা করেছে ১৪৩ রান। বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে এখন ১২২ রানে।