গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও সেটি সরিয়ে অতিদ্রুত ১০ লাখ টন গম রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এরমধ্যে বাংলাদেশে ৬ লাখ টন গম রপ্তানি করার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। দেশটির ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড- ডিজিএফটি এ ঘোষণা দিয়েছেন। আজ (শুক্রবার) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসকে এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতের একজন গম রপ্তানিকারক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই রপ্তানিকারক বলেন, ১০ লাখ টনের বেশি গম রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ডিজিএফটি। তার মধ্যে প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ গম রপ্তানি করা হবে বাংলাদেশে। তিনি আরও বলেন, বৈধ ও যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই গম রপ্তানি করা হবে। সড়ক ও রেলপথে গমের চালান যাবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশে ফিরেই এবিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযুষ গয়াল। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলন উপলক্ষে বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে আছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক বাজারে গম রপ্তানিতে শীর্ষ দুই দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের ফলে কৃষ্ণ সাগর অঞ্চল থেকে গমের চালান আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বিশ্বের গম উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে চীন, তারপরই ভারতের অবস্থান। তাই কৃষ্ণ সাগর থেকে গমের চালান আসা বন্ধ হওয়ার পর ভারতের ওপর চাপ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা। ফলে গত ১৩ই মে গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। তার চারদিন পর গত ১৭ই মে সেই নিষেধাজ্ঞার কিছু শর্ত শিথিল করে দেশটি।
এদিকে, কলকাতাভিত্তিক এক রপ্তানিকারক ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’ কে জানান, বাংলাদেশের গুদামগুলোতে চালের মজুদ থাকায় রপ্তানিতে বিশেষ তাড়া নেই বাংলাদেশ সরকারের। তিনি আরও বলেন, আগে মজুদ চাল বিক্রি করতে চায় বাংলাদেশ, যাতে সেই জায়গায় আমদানি করা গম মজুদ করা সম্ভব হয়।