আরও একবার ফাইনালে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের সামনে পড়ে স্বপ্ন ভাঙলো লিভারপুলের। প্যারিসে শনিবার রাতে দাপট দেখিয়ে খেলেও গোলের দেখা পেলেন না সালাহ-মানেরা। বরং খেলার ধারার বিপরীতে গোল করে দলকে লিড এনে দিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র। দুর্দান্ত সব সেভ করে নায়ক হয়ে রইলেন গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়াও। তাতেই ১-০ গোলের জয় নিয়ে রেকর্ড ১৪তম বারের মতো ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন হলো রিয়াল মাদ্রিদ।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এমনটি আগে বোধ হয় হয়নি। বিচিত্র কারণে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হতে পারেনি। তিন দফা সময় পরিবর্তন করে শেষ পর্যন্ত ৩৬ মিনিট পর খেলা মাঠে গড়ায়।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ফাইনাল ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে দাপট দেখিয়েই খেলেছে লিভারপুল। সেই হিসেবে বলতে গেলে পাত্তাই পায়নি রিয়াল। তবে গোলটি পেয়ে যাচ্ছিল তারাই। সেই ‘জাদুকর’ বেনজেমা প্রথমার্ধের শেষদিকে এসে বল জড়িয়েছিলেন জালে। তবে অনেকটা সময় ‘ভার’ দেখে বারবার রিপ্লে টেনে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল করেন রেফারি।

প্রথমার্ধে লক্ষ্যমতো ওই একটি শটই নিতে পারে রিয়াল। অন্যদিকে ১০টি শট নেয় লিভারপুল, যার মধ্যে ৫টি ছিল লক্ষ্যে।

ম্যাচের ১৬ মিনিটের মাথায় মোহামেদ সালাহর ক্লোজ রেঞ্জ শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ফেরান রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। ২১ মিনিটে সাদিও মানে তো গোলই পেয়ে যাচ্ছিলেন প্রায়, এবারও কর্তোয়ায় বেঁচে যায় রিয়াল।

৪২ মিনিটে ফেদেরিকো ভালভার্দের থ্রো বল একদম এলিসনের সামনে পেয়ে গিয়েছিলেন বেনজেমা। দুই তিনবার লিভারপুল গোলরক্ষককে কাটিয়ে শট নিতে না পেরে তিনি ঠেলে দেন ভালভার্দের দিকে, তার কাছ থেকে আবার বল পেয়ে বেনজেমা জড়ান জালে।

কিন্তু অফসাইডের কারণে গোলটি পায়নি রিয়াল। ‘ভার’-এ সিদ্ধান্তটি নিতে অনেক সময় লেগেছে রেফারির। শেষ পর্যন্ত গোলটি বাতিল করেন তিনি।

বিরতির পর ৫৯ মিনিটে ভালভার্দের পাস বক্সের মাঝে বেনজেমাকে পার করে খুঁজে পায় ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে। আলতো ছোঁয়ায় সেটি জাল ঠেলে দেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ১-০তে এগিয়ে যায় রিয়াল।

গোল শোধে মরিয়া লিভারপুল আক্রমণের পর আক্রমণ করতে থাকে। ৬৪ মিনিটে সালাহর বাঁ পায়ের বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান কর্তোয়া। ৮২ মিনিটে বল পায়ে নিয়ে গিয়ে কর্তোয়াকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন মিসরীয় ফরোয়ার্ড।

এবারও অতিমানবীয় এক সেভ করেন রিয়াল গোলরক্ষক। সালাহর ডান পায়ের শট চোখের পলকে এক হাতে কোনোমতে বাইরে বের করে দেন কর্তোয়া। আরও একবার নিশ্চিত বিপদ থেকে বাঁচে রিয়াল।

শেষ পর্যন্ত আর গোলের দেখা পায়নি লিভারপুল। তাতে রেকর্ড ১৪ বারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবলের শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে রিয়াল মাদ্রিদ।