মারা গেলেন ভারতের বিখ্যাত গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। তিনি কেকে নামে পরিচিত ছিলেন। মঙ্গলবার (৩১শে মে) রাতে কলকাতার নজরুল অনুষ্ঠান চলাকালীন তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর সূত্রে জানা যায়, কলকাতার নজরুল মঞ্চে উল্টোডাঙার গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের গানের অনুষ্ঠানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে। এসময় তাকে কলকাতা সিএমআরআই হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ হিন্দি ছাড়াও তিনি তেলুগু, মালডালাম, কন্নড়, মারাঠি, গুজরাটি ও তামিল চলচ্চিত্রে গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তাকে ভারতের অন্যতম বৈচিত্রপূর্ণ সংগীতশিল্পী হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে সাতটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়নসহ একাধিক পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন এবং দুটি স্ক্রিন পুরস্কার অর্জন করেছেন।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, গায়ক অনুপম রায় আমাকে ফোন করে বলেছিলেন যে, তিনি হাসপাতাল থেকে খারাপ কিছু শুনতে পাচ্ছেন। এরপর হাসপাতালে যোগাযোগ করি। তারা বলেছে, তাকে মৃত অবস্থায় আনা হচ্ছে। তারপর হাসপাতালে ছুটে যাই।

কেকের মৃত্যুতে শোকের ছাড়া নেমে এসেছে ভারতের সংগীত ও চলচ্চিত্র জগতে। গত তিন দশকে ভারতীয় সংগীত প্রেমীদের বহু হিট গান উপহার দিয়েছেন কেকে। তার ছেলেবেলা কাটে নয়াদিল্লিতে। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করে। পরে তিনি পা রাখেন বলিউডের গ্ল্যামার দুনিয়ায়।

১৯৯৭ সালে ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেছিলেন কেকে। ১৯৯৯ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘পাল’ প্রকাশ পায়। এরপর ‘কেয়া মুঝে পেয়ার হ্যায়’ (কেকে), ‘দিল কিউ ইয়ে মেরা শোর কারে’, ‘জিন্দেগি দো পাল কি’ (কাইটস), ও ‘তুনে মারি এন্ট্রিয়া’ (গুন্ডে) মতো অসংখ্যা গান গেয়ে মুগ্ধ করেছিলেন সংগীত প্রেমীদের। তিনি হিন্দি, বাংলা, তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালাম, গুজরাটি ভাষায় গান গেয়েছিলেন।