ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধ করার সময় রুশ সেনাদের হাতে বন্দি হওয়া তিন যোদ্ধাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এদের মধ্যে দুজন ব্রিটিশ ও অপর একজন মরক্কোর নাগরিক। রুশপন্থী ও স্বঘোষিত দনেস্ক পিপল’স রিপাবলিকের আদালতে তাদের বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করা হয়। এই আদাতল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত না। রুশ বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তি-এর বরাতে বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই তিন যোদ্ধা হলেন- যুক্তরাজ্যের অ্যাইডেন অ্যাসলিন (২৮), শন পিনার (৪৮) ও মরক্কোর নাগরিক সাউদুন ব্রাহিম। ইউক্রেন অভিযানের প্রায় দুই মাস পর গত এপ্রিল মাসে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে আটক হন তারা। গত মঙ্গলবার (৭ জুন) দোনেৎস্ক পিপল’স রিপাবলিকের সুপ্রিম কোর্টে তাদের বিচার শুরু হয়।

দুই দিনের বিচারে তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে বিচারপতি আলেক্সান্ডার নিকুলিন বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই মৃত্যুদণ্ডের আদেশের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে।

আইনজীবীদের দাবি, তারা ভাড়াটে যোদ্ধা হিসেবে ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধ করছিলেন। তবে ব্রিটিশ নাগরিক দুজনের পরিবারের দাবি, ২০১৮ সাল থেকে তারা ইউক্রেনেই বাস করছিলেন। এবং ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন।

অ্যাসলিন ও পিনার গত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপোলের দক্ষিণাংশে দোনবাসের রুশপন্থী স্বাধীনতাকামী সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। আর ব্রাহিম আত্মসমর্পণ করেন মার্চ মাসের মাঝামাঝি ভলনোভাখা শহরে। প্রথম ইউক্রেনীয় যোদ্ধা হিসেবে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।

এদিকে নিজ দেশের দুই নাগরিকের এ মৃতুদণ্ডের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন ব্রিটিশ সরকার। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এ বিচারকে ‘প্রহসন’ বলে অভিহিত করে বলেছেন, পূর্ব-ইউক্রেনে রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনীর হাতে আটক অ্যাইডেন অ্যাসলিন ও শন পিনারকে মৃত্যুদণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তারা যুদ্ধবন্দি।

Â