রাশিয়ার নিরাপত্তার প্রশ্নে আবারও পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে চীন। এদিকে, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন দেখাতে দেশটির রাজধানী কিয়েভ সফরে যাচ্চেন ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির শীর্ষ নেতারা। এর মধ্যেই ইউক্রেনকে দেয়া ন্যাটোর অস্ত্রশস্ত্রের একটি গুদাম ধ্বংসের দাবি করেছে রাশিয়া। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গুদামটি ধ্বংস করা হয় বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। কিয়েভকে আরও সামরিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেনে পশ্চিমা বিশ্বের পাঠানো অস্ত্রভান্ডারে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, শক্তিশালী কালিবর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে লভিভ শহরে অবস্থিত একটি অস্ত্র গুদাম ধ্বংস করা হয়। ওই অস্ত্র ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো থেকে ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছিল। ধ্বংস করা অস্ত্রের মধ্যে অত্যাধুনিক কামান ছিল।
ইউক্রেনে আরও ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে কিয়েভকে ওয়াশিংটনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়ার পর এই অস্ত্র পাঠানোর এ ঘোষণা দেন বাইডেন।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন দেখাতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি কিয়েভ সফরে গেছেন। তবে মস্কোর সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেইজিং। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে এ কথা জানান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং।
জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির জন্য রুশ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি গ্যাজপ্রমকে দায়ী করেছে জার্মানি। দেশটির অর্থমন্ত্রী রবার্ট হাবেন জানান, জ্বালানির বাজার অস্থিতিশীল করা ও এর মূল্যবৃদ্ধি করার জন্য জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে রাশিয়া।
রাশিয়ার ওপর থেকে গ্যাস নির্ভরতা কমানোর অংশ হিসেবে ইসরাইল ও মিসরের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নতুন চুক্তির আওতায় মিসরে প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানি বিপুল পরিমাণ বাড়াবে ইসরাইল। মিসরে তা তরলীকৃত করে ইউরোপীয় বাজারে রফতানি করা হবে।