সিলেট এবং সুনামগঞ্জের বহু এলাকা এখনো পানিতে তলিয়ে আছে। সিলেটে রেল যোগাযোগ শুরু হয়েছে, শহরের কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগও চালু হয়েছে। আজ (সোমবার) পর্যন্ত গ্যাস ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকায় সিলেট ও সুনামগঞ্জে মানুষের দুর্ভোগ কমছে না।

সুনামগঞ্জ শহরসহ ১২টি উপজেলা প্লাবিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন পানিবন্দি লাখো মানুষ। জেলায় ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে রয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

এখনো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রের খোঁজে আছে। সেনাবাহিনী তাদের উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ এবং চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তবে তা প্রয়োজনের চেয়ে অপ্রতুল।

সরকারি ও বেসরকারীভাবে দেওয়া ত্রাণ অপ্রতুল বলছেন বন্যাদুর্গতরা। খাদ্য সংকটে অভুক্ত রয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা ৩১ হাজার গৃহপালিত পশুও।

এমন অবস্থায় নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন নগরের বাসিন্দারা। এখন আর নগরে কোনো আশ্রয়কেন্দ্র খালি নেই। সবজায়গায় লোকজনে টই-টম্বুর। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় বন্যাদুর্গতরা চাইলেই আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারছেন না। অতিরিক্ত পানি থাকায় তারা বাসাবাড়ির সিঁড়িতে এমনকি বাসার ছাদেও ত্রি-পল টানিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

কেউ কেউ আশ্রয় খুঁজছেন আত্মীয়স্বজন আর পরিচিতজনদের বাড়িতে। বহুতল ভবনের নিচতলার বাসিন্দারা উঠে যাচ্ছেন দোতলা, তিনতলায়। আর যাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, তারা ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। কিন্তু পর্যাপ্ত সরকারি সহায়তা না থাকায় আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দারা ভুগছেন খাদ্য সংকটে। নিজেদের জমানো সঞ্চয় আর মানুষের সহায়তাই এখন তাদের ভরসা।

বন্যার পানি ঢুকেছে হবিগঞ্জেও। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নবীগঞ্জ ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ১৫টি গ্রামের মানুষ। মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা, ধলই ও মনু নদীর পানি বাড়ায় আতংকে রয়েছে ওই এলাকার মানুষ। এরিমধ্যে বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।